বীরভূম : মুখ্যমন্ত্রীর রোড শোয়ে জনজয়ার। বোলপুর দেখল সেই মমতা ম্যাজিক। বীরভূম সফরে গিয়ে যে বাসুদেব বাউলের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছিলেন অমিত শাহ, সেই বাসুদেব দাস বাউল গান গাইলেন মুখ্যমন্ত্রীর পদযাত্রার একেবারে সামনের সারিতে। এদিন বোলপুরের ডাকবাংলো মাঠ থেকে মেগা রোড শো শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরপর শুরু হয় মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা। বোলপুরের সভা থেকে বিজেপিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শান্তিনিকেতনকে নিয়ে ঘৃণ্য রাজনীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে মমতার তোপ, ‘‘এক ধরনের ঘৃণ্য রাজনীতির আমদানি হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ সবাইকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। উগ্র ধর্মীয় রাজনীতি করা হচ্ছে।’’
বহিরাগত ইস্যুতেও এ দিন ফের তোপ দেগেছেন মমতা। গ্রামবাসীদের সাবধান করে বলেন, বহিরাগত দেখলেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করুন। আর তার সঙ্গে আমদেরও জানিয়ে রাখুন। আমরাও ব্যবস্থা নেব।’’
বোলপুরের জামবুনির এই সভার আগে শহরে চার কিলোমিটার পদযাত্রা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার বেলা ১টা নাগাদ বোলপুরের লজের মোড় থেকে শুরু হয় পদযাত্রা। সেখান থেকে চৌরাস্তা মোড় হয়ে জামবুনিতে গিয়ে শেষ হয় রোড শো।
মুখ্যমন্ত্রীর সভা ঘিরে সকাল থেকেই বোলপুরের রাস্তায় জমায়েত শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা। বেলা বাড়তেই চোখে পড়েছে জনজোয়ার। আর রোড শো শুরু হতেই সেই জনজোয়ার যেন জনসমুদ্রের চেহারা নেয়। রাস্তার দু’ধারে ছিল প্রচুর মানুষের ভিড়। তাঁদের আটকাতে দড়ি দিয়ে ব্যারিকেড করে রেখেছিল পুলিশ। কিন্তু তার পরেও হিমশিম খেতে হয় কর্মরত পুলিশ অফিসারদের।
এই পথেই কয়েক দিন আগে রোড শো করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই রোড শো-তেও ব্যাপক জনসমাগম হয়েছিল। ফলে মঙ্গলবার মমতার রোড শো কার্যত তার জবাব। বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল আগেই বলেছেন, আড়াই লক্ষ মানুষের জমায়েত হবে মঙ্গলবার মমতার এই রোড শো-তে।