কলকাতা : রক্তের অভাবে বন্ধ হবে না পোষ্যর চিকিৎসা। পশু চিকিৎসায় বিপ্লব ঘটিয়ে কলকাতায় শুরু হল উত্তর-পূর্ব ভারতের একমাত্র পোষ্যদের রক্তের তথ্য ব্যাংক।
পোষ্যদের চিকিৎসা করতে নানা রকম সমস্যায় পড়তে হয় চিকিৎসকদের। তার মধ্যে প্রধান হল, জরুরি ক্ষেত্রে রক্তের অভাব।
দক্ষিণ কলকাতার অনিল রায় রোডের একটি বেসরকারি পশু হাসপাতাল শুরু করেছে পোষ্যদের রক্তের গ্রুপের ডেটা ব্যাংক তৈরির কাজ।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, পোষ্যরা দুর্ঘটনাগ্রস্ত হলে বা অন্য কোনও কারণে “ব্লাড লস” হতে পারে, সেক্ষেত্রে ঘাটতি মেটাতে মানুষের মতোই রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু কুকুরদের ক্ষেত্রে রক্তের গ্রুপ বেশি হওয়ায় চটজলদি ম্যাচিং করানো মুশকিল।
রক্তের তথ্য ব্যংক হাতে থাকলে রক্তদাতার জন্য আর হাতরাতে হবে না। পোষ্যের মালিককে ফোন করলেই সমাধান হয়ে যাবে। সেই চিন্তাভাবনা থেকেই এই উদ্যোগ।
যেমন বিএই ১.১, বিএই ১.৭, বিএই ২.২ এর মতো তেরোটি গ্রুপের রক্ত মিলেছে সারমেয়দের শরীরে। রক্তে মজুত অ্যারিথ্রোসাইট অ্যান্টিজেনের উপর ভিত্তি করেই হয় কুকুরদের রক্তের গ্রুপ। ডগ অ্যারিথ্রোসাইট অ্যান্টিজেন ১.১, ২.২ এগুলো সবই এক একটি অ্যান্টিজেনকে নির্দিষ্ট করে।
বিড়ালের ক্ষেত্রে অবশ্য রক্তের গ্রুপ নির্ধারণ নমুনা তুলনামূলক সহজ। কারণ তাদের মাত্র চারটি গ্রুপ, এ, বি, এবি ও সি। এ আর বি মেজর গ্রুপ, সি দুষ্পাপ্য। তাই এই গ্রুপের কোনও বিড়ালের রক্তের প্রয়োজন হলে সমস্যায় পড়তে হয়। ব্লাড ব্যাংক রেজিস্ট্রেশন তৈরি হলে এই সমস্যা মিটবে বলেই মনে করছেন তিনি।
রাজ্য প্রাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, ডা সিদ্ধার্থ জোয়ারদার জানিয়েছেন, গোটা দেশে এই ধরণের তথ্য ব্যাংক ও ব্লাড ব্যাংক রয়েছে একমাত্র দক্ষিণ ভারতে, তামিলনাড়ু ইউনিভার্সিটি অব ভেটেরেনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সে (TANUVA)। কলকাতায় এহেন ব্যাংক তৈরি হলে পোষ্যদের চিকিৎসায় বিপ্লব আসবে।