কলকাতা: নন্দীগ্রাম মামলার বৃহস্পতিবারের শুনানি শেষ হল। হাইকোর্টের অন্য বেঞ্চে মামলা সরানোর আবেদন বিবেচনা করা হবে বলেই আশ্বস্ত করলেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। এদিন মামলার শুনানিতে ভার্চুয়াল অংশগ্রহণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আগের শুনানিতে মুখ্যমন্ত্রীকে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই অনুযায়ী আজ ভার্চুয়াল অংশগ্রহণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গতকাল নন্দীগ্রাম গণনা মামলা ছেড়ে দেওয়ার জন্য আবেদন করেন মমতা।বিচারপতি কৌশিক চন্দর কাছে আবেদন করেছিলেন মমতা। বৃহস্পতিবার ধমকের সুরেই মমতার আইনজীবীকে ভৎর্সনা করেন বিচারপতি। কেন আদালতে বিচারপতির এজলাস বদলের প্রসঙ্গ না টেনে প্রশাসনিক পথে হাঁটলেন আইনজীবী তা জানতে চাওয়া হয়।
শুনানির শুরুতে বিচারপতি কৌশিক চন্দ অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিকে প্রশ্ন করেন, ‘‘১৮ জুনের আগে মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। তখন কেন এই মামলার নিরপেক্ষতা নিয়ে বলা হয়নি?” প্রধান বিচারপতির কাছে পুনর্বহালের জন্য রাজ্য আবেদন করায় কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি চন্দ।
অভিষেক সিংভি বলেছেন যে পক্ষপাতিত্বের আশঙ্কার কারণ রয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিজেপির পক্ষেও উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি, এমনটাই জানান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী অভিষেক
মনু সিঙ্ঘভি এদিন স্পষ্ট করে দেন, যেহেতু কৌশিক চন্দ অতীতে বহু মামলা লড়েছেন বিজেপির হয়ে, তাই তিনি এই মামলায় রায়দান করলে মুক্তমনা মানুষ তা ভালো ভাবে নেবে না। নিজের যুক্তির সপক্ষে বিজেপি যোগের প্রমাণাদিও তুলে ধরেন তিনি। সিঙ্ভি আরও বলেন, “আমি বলছি, হতে পারে কিছু অভিযোগ অসত্য। কিন্তু কিছু প্রশ্ন উঠছে। সেটা বিচারপতির বিরুদ্ধে উঠছে। ”
আরও পড়ুন: ‘ভুয়ো’টিকাকরণের তদন্তে এবার কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ, জেরায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
এরপরই বিচারপতি বলেন, “আমায় ভাবার সময় দিন। দেখি কী করা যায়…” নন্দীগ্রাম মামলা হাই কোর্টের অন্য বেঞ্চে সরানোর আবেদন বিবেচনা করে দেখার আশ্বাস দেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ।সবটা শুনেই বিচারপতি শুনানি মুলতুবি রাখেন এবং পুনরায় বিষয়টি বিবেচনার প্রতিশ্রুতি দেন।