ডেস্ক: কসবায় ভুয়ো টিকাকরণের ঘটনার তদন্তভার নিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। অ্যান্টি ফ্রড সেকশন এই বিষয়টির তদন্ত করবে। ধৃত দেবাঞ্জন দেবকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও বেশ কয়েকটি তথ্য এসেছে পুলিশের হাতে। সোনারপুর, কসবা ছাড়া উত্তর কলকাতার সিটি কলেজেও ভ্য়াকসিনেশন ক্যাম্প করেছিলেন ভুয়ো IAS দেবাঞ্জন দেব। কসবায় ভুয়ো ভ্যাকসিন ক্যাম্প চালানোয় অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের মতলব নিয়ে এখনো আঁধারে তদন্তকারীরা।
পুলিশি সূত্রে খবর, মাঝেমধ্যেই নিজের বয়ান বদলাচ্ছে দেবাঞ্জন। মানুষের সেবা করতেই নাকি ভ্যাকসিন দিতেন, পুলিশি জেরাতে এমনটাই দাবি করেছেন দেবাঞ্জন। ভুয়ো আইএএসের কসবার অফিসের কর্মীদের ইতিমধ্যেই সন্ধান শুরু করেছে পুলিশ।
প্রথমে ভুয়ো আইএএস দাবি করেছিলেন, বাগড়ি মার্কেট থেকে তিনি ভ্যাকসিন কিনেছিলেন। সেই বয়ান থেকে পরে সরে আসেন দেবাঞ্জন। কসবার ওই ক্যাম্প থেকে বিপুল পরিমাণ ভ্যাকসিন উদ্ধার হয়েছে। তার নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে উল্লেখ্য, ওই ক্যাম্প থেকে এমন কোনও কনটেনার পাওয়া যায়নি, যার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত ১৮ জুন কলেজে ওই ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়। যে ক্যাম্প থেকে টিকা নেন কলেজ কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে কলেজের পড়ুয়া, এমনকি সাধারণ মানুষও। ভুয়ো IAS দেবাঞ্জন দেবের কাণ্ড প্রকাশ্যে আসতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আজই আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় এই বিষয়ে অভিযোগ জানাবে কলেজ কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, কলেজের এক প্রাক্তন পড়ুয়ার সাহায্যে ওই ক্যাম্প আয়োজন করে ধৃত দেবাঞ্জন দেব। তবে কীভাবে ওই ক্যাম্পের অনুমতি মিলল, উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: পাঁচ জেলায় সপ্তাহভর ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
আজ সকাল থেকে কসবা এলাকায় অভিযানে স্বাস্থ্যকর্মীরা। কসবার রাজডাঙা, কসবা সুপার মার্কেট এলাকায় ঘুরছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, কসবার ক্যাম্প থেকে প্রায় দেড় হাজার মানুষ ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন। যাঁর মধ্যে প্রথম দিন টিকা নেওয়া ১০১ জনের নামের তালিকা হাতে পেয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। ওই ক্যাম্প থেকে টিকা নেওয়া প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা।
ইতিমধ্যেই দেবাঞ্জনকে নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রশাসনিক কর্তাদের যোগ থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “এত দিন ধরে ভুয়ো একটা লোক এত কাজ করে আসল অথচ প্রশাসনের কেউ জানতেই পারল না? এটা হতে পারে না! নিশ্চয় প্রশাসনেরও কেউ জড়িত রয়েছে এর সঙ্গে।”