প্রথম পাতা খবর ‘কোনও সম্পর্ক নেই’, সাফ জানালেন যাদবপুরের অশান্তিতে নাম জড়ানো এসএফআই নেতার বাবা

‘কোনও সম্পর্ক নেই’, সাফ জানালেন যাদবপুরের অশান্তিতে নাম জড়ানো এসএফআই নেতার বাবা

279 views
A+A-
Reset

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ঘিরে বিক্ষোভের ঘটনায় জখম হয়েছেন এসএফআই নেতা ও কলা বিভাগের ছাত্র অভিনব বসু। তবে ছেলের এই কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ তাঁর বাবা, হাওড়ার সাঁকরাইলের তৃণমূল নেতা অমৃত বসু। রবিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি স্পষ্ট জানান, ছেলের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনার নিন্দা করেন তিনি।

শনিবার ওয়েবকুপার বার্ষিক সভায় যোগ দিতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বিক্ষোভের মুখে পড়েন। ‘গো ব্যাক’ স্লোগান ওঠে, এবং অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা তাঁর গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে দেন, এমনকি গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। পাল্টা অভিযোগ ওঠে, মন্ত্রীর গাড়ির ধাক্কায় আহত হয়েছেন এক ছাত্র, যার বাঁ চোখ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এই অশান্তির মধ্যেই আহত হন অভিনব বসু। অভিযোগ, তৃণমূলপন্থী অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রের গাড়ির চাকা তাঁর পায়ের উপর দিয়ে চলে যায়।

এই ঘটনার পর রবিবার অমৃত বসু বলেন, “আমার ছেলের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। ও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকেই বাড়িতে আসে না, এমনকি আমাদের কাছ থেকে কোনও আর্থিক সাহায্যও নেয় না।”

তিনি বলেন, “আমার কাছে যা খবর আছে যে ও সুস্থ আছে। ভালো আছে।  আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আদর্শে বিশ্বাসী। ছাত্র জীবনে ছাত্র পরিষদ। তারপর যুব কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ১৯৯৭ সাল থেকে। তৃণমূলই আমার পরিবার। তৃণমূলের সমস্ত কর্মী সকলেই আমার পরিবারের  সদস্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ছাড়া কিছু বুঝি না। আমি যখন মারা যাব তখন আমার দেহের ওপর যেন তৃণমূলের পতাকাটা থাকে। আমি কী হারে তৃণমূলকে ভালোবাসি। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে ভালোবাসি। সাংগঠনিক সভাপতি হিসাবে কীভাবে মানুষের পাশে থাকি”। 

পাশাপাশি, তিনি আরও বলেন, “যাদবপুরের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি হওয়া উচিত। আমার ছেলে যদি জড়িত থাকে, তাহলেও শাস্তি পাওয়া উচিত।”

আরও খবর

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.