রেল দুর্ঘটনায় ট্রমায় রয়েছেন, এমন ঘরে ফেরাদের জন্যও আর্থিক সাহায্য ঘোষণা মমতার

কলকাতা: ওড়িশায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় বাংলার ৬২ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করল নবান্ন। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, বাংলা থেকে এখনও পর্যন্ত ৬২ জন মারা গিয়েছেন। তার তালিকা হাতে পেয়েছে রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে তিনি ঘোষণা করলেন, আহত হননি, অথচ দুর্ঘটনার জেরে ট্রমায় রয়েছে, এমন ঘরে ফেরাদের আর্থিক সাহায্য করা হবে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ওড়িশার বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা ঘটে। শনিবার নিজে বালেশ্বর পৌঁছে গিয়েছিলেন মমতা। সেখানে আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তার পর দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনেও যান। রবিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বলেন, “লাগাতার পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি আমরা। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। প্রচুর মানুষের প্রাণ গিয়েছে। প্রিয়জনকে খুঁজে পাচ্ছে না অনেক পরিবার।”

তিনি আরও জানান, “আহত ২০৬ জনকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে এনে কলকাতায় হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এছাড়া ওড়িশায় হাসপাতালে ৭৩ জন ভর্তি রয়েছেন। ৫৬ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছাড়া হয়েছে। আর পরিচয় মেলেনি এ রকম ১৮২ জন রয়েছেন। তাঁদের ছবি প্রতিটি জেলায় পাঠানো হয়েছে”।

বাংলা থেকে বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনায় যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারে ৫ লক্ষ টাকা করে দেবে বাংলার সরকার। গুরুতর আহতরা পাবেন ১ লক্ষ টাকা করে। অল্পবিস্তর চোট পেয়েছেন যাঁরা, তাঁদের ২৫ হাজার টাকা করে দেবে রাজ্য। এ ছাড়াও এমন বহু মানুষ রয়েছেন বাংলার, যাঁরা দুর্ঘটনায় আহত হননি। বাড়ি ফিরে এসেছেন। কিন্তু দুর্ঘটনায় ভয়াবহতা কাটিয়ে উঠতে পারেননি এখনও। ট্রমার মধ্যে রয়েছেন। সংখ্যাটা অন্তত দেড়-দু’হাজার হবেই। তাঁদের রাজ্য সরকার ১০ হাজার টাকা করে দেবে।

একসময় নিজেও রেলমন্ত্রী ছিলেন মমতা। সে প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “রেলটাকে আমি হাতের তালুর মতো জানি। আমি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন রেলের অ্যান্টি কলিশন ডিভাইসের প্রস্তাব দিই। এছাড়াও নিউ সিগন্যাল সিস্টেম, ম্যানড লেভেল ক্রসিংয়ের কথাও বলেছিলাম। এর জন্যই দুর্ঘটনার সংখ্যা কমেছে।”

Related posts

মমতা-অভিষেককে গাড়ির ধাক্কায় খুনের হুমকি দিয়ে পোস্টার, জোর চাঞ্চল্য

আজ ঝাড়গ্রাম ও ঘাটালে নির্বাচনী জনসভা, খড়্গপুরে রোড-শো মমতার

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের পদত্যাগের দাবি, রাজভবন ঘেরাও তৃণমূল শিক্ষা সেলের