ডেস্ক: ৩১ জুলাইয়ের মধ্যেই দেশজুড়ে ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’ ব্যবস্থা চালু করতে হবে। মঙ্গলবার কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিকে এমনটাই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন বিচারপতি অশোক ভূষণ এভং বিচারপতি এমআর শাহের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় শোনায়।
বিচারপতি অশোক ভূষণ এবং এমআর শাহের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারগুলির কাছে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, করোনায় প্রভাবিত শ্রমিকদের সঙ্গে সম্পর্কিত কল্যাণমূলক প্রকল্পের জন্য। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের তরফে রাজ্য সরকারগুলিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য শুকনো রেশন এবং কমিউনিটি কিচেন চালানোর জন্য। সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে আরও নির্দেশ দিয়েছে, করোনা মহামারী যতদিন না পর্যন্ত শেষ হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের খাদ্যশস্য দিয়ে যেতে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কোনো কোনো রাজ্যে পূর্ণ, আবার কোথাও কোথাও আংশিক লকডাউন চলছে। এই অবস্থায় যাতে পরিযায়ী শ্রমিকরা রেশন ও খাদ্য নিরাপত্তা থেকে বঞ্চিত না হন, তার জন্য সুপ্রিমকোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে জরুরি আবেদন জানান হর্ষ মান্ডের, অঞ্জলি ভরদ্বাজ ও জগদীপ চোকার নামে ৩ সমাজকর্মী। মঙ্গলবার শুনানিতে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারকে একাধিক নির্দেশিকা দেয় সুপ্রিমকোর্ট।
আরও পড়ুন: ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের তৎপর ইডি,তথ্য চেয়ে ই-মেল কলকাতা পুলিশকে
রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে দেওয়া নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, শ্রমিকদের পাশাপাশি কন্ট্রাক্টরদের নামও নথিভুক্ত করতে হবে। এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন মূলত পরিযায়ী শ্রমিকরা। যাঁরা এক রাজ্যের বাসিন্দা, রেশন কার্ড এক রাজ্যের। কাজের খোঁজে অন্য রাজ্যে গিয়েও তাঁরা রেশন কার্ডের সুবিধা পাবেন। ভর্তুকিযুক্ত চালগম পাবেন। সেখানে তাঁদের নতুন করে কার্ড তৈরি করতে হবে না। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল কোনও রাজ্যের রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের সংযুক্তির সমস্যার বিষয়টি সর্বোচ্চ আদালত আর শুনবে না।
প্রসঙ্গত,‘এক দেশ – এক রেশন কার্ড’ চালু নিয়ে এখনও স্থায়ী কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি রাজ্য সরকার। তবে এই প্রকল্পে যে তাঁর সরকারের কোনও আপত্তি নেই তা এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১৫ জুন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, এখানেও হবে ‘এক দেশএক রেশনষকার্ড’। তবে সময় লাগবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের খাদ্যসাথী প্রকল্পে ১০ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ রেশন পাচ্ছেন। ওয়ান নেশন, ওয়ান রেশনে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। এর কাজ চলছে। তবে আমাদের কিছু আধার কার্ড বাকি আছে। সেটা করে ফেলতে হবে। আমরা তিন মাসের মধ্যে করে দেব।’