হুগলির উত্তরপাড়ায় এক মর্মান্তিক ঘটনায় স্তম্ভিত এলাকাবাসী। বুধবার সকালে হিন্দমোটর ভদ্রকালী এলাকার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হল এক মা ও তার শিশুকন্যার নিথর দেহ। পাশেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন মহিলার স্বামী।
মৃতদের নাম পায়েল চট্টোপাধ্যায় (২৫) ও অদ্রিজা চট্টোপাধ্যায় (৪)। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া পায়েলের স্বামী কাশীনাথ চট্টোপাধ্যায় (৪০) এখন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ফল কাটার ছুরি দিয়ে স্ত্রী ও ছোট মেয়েকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন কাশীনাথ। পারিবারিক অশান্তির জেরেই হয়তো এমন ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
পাশের ঘরে দিদিমার সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল দম্পতির বড় মেয়ে। তাই সে প্রাণে বেঁচে যায়। সকালে নির্ধারিত সময়ে জামাই ঘুম থেকে না ওঠায় পায়েলের মা ঘরে গিয়ে দেখে, বিছানায় পড়ে রক্তাক্ত দেহ, দরজাও ছিল খোলা।
ঘটনার তদন্তে নেমেছে চন্দননগর কমিশনারেট। স্থানীয়দের মধ্যে শোকের ছায়া। কী কারণে এমন ভয়াবহ সিদ্ধান্ত নিলেন কাশীনাথ, তা জানতে মরিয়া পুলিশ।