নীরব মোদীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ছবি কেলেঙ্কারি নয়? ফিরহাদ

ডেস্ক: ভুয়ো ভ্যাকসিন-কাণ্ডে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য! ভুয়ো দেবাঞ্জনের একের পর এক কীর্তি প্রকাশ্যে আসছে। কার্যত যা শুনে রীতিমত অবাক তদন্তকারী আধিকারিকরাও। এই অবস্থায় ফলক নিয়ে বিতর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে। ‘ফলক কে লাগিয়েছে জানি না৷ আমার নামে কত ফলক লাগানো আছে। সেগুলির ইজারা দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই।’ তালতলায় রবীন্দ্রমূর্তির ফলকে দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে তাঁর নাম থাকা নিয়ে একথাই বললেন কলকাতা পুরসভার পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।     


অন্য দিকে, দেবাঞ্জনের সঙ্গে ফিরহাদ হাকিমের ভাইরাল হওয়া ছবি নিয়ে প্রশ্নের মুখ পড়তে হল পুর প্রশাসককে। সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, ‘নীরব মোদীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন ছবি তোলেন তখন সেই তদন্ত কে করবে?’


তালতলায় ত্রিপুরা শঙ্করসেন শাস্ত্রী স্মৃতি গ্রন্থাগারের রবীন্দ্রমূর্তির ফলকে ফিরহাদের হাকিমের সঙ্গে জ্বলজ্বল করছিল ‘পুরসভার যুগ্মসচিব’ দেবাঞ্জন দেবের নাম। শুক্রবার সেটি ভেঙে দেয় পুরসভা। তদারকি করেন কো-অর্ডিনেটর ইন্দ্রাণী সাহা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে পুর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ দাবি করেন,’কলকাতা পুরসভা ওই মূর্তিটি বসায়নি। অনুষ্ঠানও হয়নি। ফলকে যাঁদের নাম লেখা তাঁরা কেউ উন্মোচনের সময় ছিলেন না।’    

আরও পড়ুন: ভু্য়ো ভ্যাকসিন নিয়ে কেমন আছেন?শুরু স্বাস্থ্য পরীক্ষা


শনিবার ফিরহাদ জানান,’ফলক লাগানোর জন্য ওঁর কাছে কোনও ওয়ার্ক অর্ডার নেই। কে ফলক লাগাচ্ছে, কে ভাঙছে এটা আমার জানার কথা নয়। ফলক কেলেঙ্কারির কী আছে? কেন আপনারা খবর করলেন না আগে। যখন নীরব মোদীর সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী বসে থাকেন সেটা কেলেঙ্কারি হয় না।
ভুয়ো ভ্যাকসিন-কাণ্ড নিয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘সিট গঠন হয়েছে। তদন্ত হচ্ছে। দোষীরা শাস্তি পাবে। বাংলায় নিরপেক্ষ তদন্ত হয়।

পাশাপাশি, পাশাপাশি সাধারণ মানুষের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিনের ওপর ভরসা রাখুন। এই ধরনের ক্যাম্পে না গিয়ে চেষ্টা করুন পুরসভার টিকাকরণ কেন্দ্র বা সরকারি হাসপাতালে গিয়ে টিকা নিতে। কলকাতার বাসিন্দা হলে কলকাতা পুরসভার অধীন ক্যাম্পে যান ও অন্যান্য জেলায় সিএমওএইচ-এর সঙ্গে প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে বলেন ফিরহাদ।

Related posts

হাজি নুরুল জেতার পর মমতার প্রথম ভিজিট সন্দেশখালি, ঘোষণা বসিরহাটে

নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে ‘ চোর ‘ স্লোগান শুনলেন শুভেন্দু

দেশের ৪৯টি আসনে ভোটের হার ৬০.০৯ শতাংশ, পশ্চিমবঙ্গের সাতটি আসনে ৭৪.৬৫ শতাংশ