ডেস্ক: গতবারের দুর্গাপুজোয় মণ্ডপে নো এন্ট্রির নির্দেশই বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। এবারও পুজোর চারদিন মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন না দর্শনার্থীরা। শুক্রবারই জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। করোনার সংক্রমণে পুজো মণ্ডপগুলিতে যাতে কোনও ভাবেই স্বাস্থ্যবিধি অমান্য না করা হয়, সেই দাবিতেই আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। এদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, গত বারের মতো এবারও মণ্ডপে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। দুর্গা এবং কালীপুজোর সমস্ত মণ্ডপকেও ‘নো-এন্ট্রি’ জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
এই বছরও পুজো মণ্ডপগুলিতে ‘নো এন্ট্রি জোন’-ই থাকছে, শুক্রবার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতকে জানান, পুজো মণ্ডপ নো এন্ট্রি জোন রাখার নির্দেশ দিলে আপত্তি করা হবে না। এরপরেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। ফলে এবারের দুর্গাপুজো থেকে কালী পুজো হতে চলেছে দর্শকশূন্য মণ্ডপে। মণ্ডপের বাইরেও করোনা বিধি মেনে চলতে হবে। মাস্ক ও শারীরিক দূরত্ব অবশ্যই বজায় রাখতে হবে।
গত বছর অজয় দে নামে এক ব্যক্তির জনস্বার্থ মামলার নিরিখে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল, ১০ মিটারের মধ্যে কোনও ভাবেই কোনও দর্শক মণ্ডপে থাকবেন না। এমনকী যাঁরা পুজো পরিচালনার দায়িত্ব নেবেন, তাঁরাও ইচ্ছামতো মণ্ডপে ঢুকবেন-বেরোবেন, সেটাও হতে পারে না। ২৫ জনের তালিকা দিতে বলা হয়েছিল সেবার আদালতে। পঞ্চমীর দিন সেই নির্দেশ এসেছিল গত বছর।
এরপরই দেখা যায় গোটা পুজোতেই মণ্ডপগুলিতে তুলনামূলক ভিড় অনেক কম। বিশেষ করে কলকাতার বড় পুজো মণ্ডপগুলিই চিন্তার কারণ থাকে। তাই এবারও জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে জনৈক ব্যক্তি জানান, গতবারের বিধিই বলবৎ থাকুক এ বছরও।