এ বার নামফলকের আসা-যাওয়া! রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে আছেন তো?
ডেস্ক: বিধানসভা ভোটের পর থেকে দলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন ডোমজুড়ের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। উলটো দিকে, প্রায়শই তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে তাঁকে নিয়ে ঠিক কী কৌশল নেওয়া হবে, সেটাই মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে গেরুয়া শিবিরের।
সাম্প্রতিক টানাপোড়েনের সূত্রপাত হেস্টিংসে বিজেপির কার্যালয়ে তাঁর নামে বরাদ্দ ঘরটি নিয়ে। কার্যালয়ে ন’তলায় ৮১১ নম্বর ঘরটি বরাদ্দ ছিল তাঁর নামে। গত রবিবার রাতে সেই ঘর থেকে সরেছিল রাজীবের নামফলক। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই তা আবার ফিরে আসে। এ ভাবেই লেগে রয়েছে নামফলকের আসা-যাওয়া।
উল্লেখ্য, ওই ঘরটি এখন ব্যবহার করা হচ্ছে ভবানীপুরের দলীয় প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের নির্বাচনী কাজে। নেমপ্লেটের এমন আসা-যাওয়া নিয়ে বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য শঙ্কুদেব পন্ডার সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেন, “ঘরে কাজ হচ্ছে। নেমপ্লেট কেউ খোলেনি”। দলীয় সূত্রে জানা যায়, ন’তলার ওই ঘরে এ বার বসবেন প্রিয়ঙ্কা।
রাজীব বর্তমানে বিজেপিতে আছেন কি না, তা এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। তবুও তাঁকে নিয়ে স্থির কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেনি রাজ্য বিজেপি। আকার-ইঙ্গিতে তাঁকে নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করলেও কোনো বিজেপি নেতা রাজীবের বিরুদ্ধে কোনো রকমের পদক্ষেপের বিষয়ে মুখ খোলেননি।
অন্য দিকে, সম্প্রতি ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে গিয়েছিলেন রাজীব। গিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মুকুল রায়ের বাড়িতেও। সে সবই না কি ছিল সৌজন্য সাক্ষাৎ। কিন্তু রাজ্য-রাজনীতিতে জোর জল্পনা, তৃণমূলে ফিরে যেতে পারেন ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক। মুকুলের প্রত্যাবর্তনের পর সেই সম্ভাবনা কয়েকগুণ বেড়েছে। কিন্তু এত কিছুর পরেও বিজেপি তাঁর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকী ফেসবুক পোস্টে দলের কড়া সমালোচনার পরেও হাত গুটিয়ে থাকছে হয়েছে দলের রাজ্য নেতৃত্বকে।
আরও পড়ুন: এত দিন কেন আসেননি? ভবানীপুর উপনির্বাচন মামলায় দ্রুত শুনানির আর্জি ফেরাল হাইকোর্ট
কিন্তু কার্যালয়ে তাঁর নামফলক আসা-যাওয়াতে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তাঁকে নিয়ে দ্বিধাধন্ধে রয়েছে বিজেপি। আবার অন্য একটি অংশের মতে, রাজীবকে মোটেই গুরুত্ব দিচ্ছে না গেরুয়া শিবির। তাঁকে যে কোনো মুহূর্তে সরিয়ে ফেলা হতে পারে। এখান থেকেই প্রশ্ন, তা হলে কি নামফলক সরানো তারই ইঙ্গিত?