ডেস্ক: শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নিজের বসতবাড়ি তিনি বিক্রি করে দিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু কেন এই পদক্ষেপ নিলেন শোভন-বৈশাখী। শোভন চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের ডিভোর্স মামলা চলছে। আদালতের লড়াইয়ের মাঝে শোভন বসতবাড়ি বিক্রি করে দিলেন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বাড়ির আর্থিক মূল্য এক কোটি টাকা। শোভনের হাতে ওই এক কোটি বৈশাখী তুলে দিয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। এখন সম্পর্কের টানাপোড়েনের মাঝে নতুন মোড় এনেছে সম্পত্তি বিবাদ।
বৈশাখীর দাবি, এখন শোভনের আয়ের পথ বলতে মহেশতলায় থাকা গোডাউন। তাই স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়-সহ তাঁর বাবা দুলাল দাস ও ভাই শুভাশিস দাসকে আইনি চিঠি পাঠিয়ে ‘ক্লেম সেটেলমেন্ট’ চেয়েছিলেন শোভন। কিন্তু কোনও সদুত্তর না পাওয়ায় আর্থিক সমস্যা মেটাতে বাড়ি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বেহালা পূর্বের প্রাক্তন বিধায়ক।
আরও পড়ুন: “মহাত্মা গান্ধীর আদর্শই দেশকে চলার পথ দেখাচ্ছে” মন কি বাতের ৮১ তম সংস্করণে দেশবাসীকে বললেন নমো
অন্য দিকে রত্নার দাবি, এই সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। যদি কোনও আইনি নোটিশ বা চিঠি পান, তবে তার মোকাবিলা করবেন আইনগত ভাবেই। বর্তমানে ওই বাড়িতে রত্না তাঁর ছেলে সপ্তর্ষি এবং মেয়ে সুহানিকে নিয়ে থাকেন। বৈশাখী জানিয়েছেন, শোভনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হবে কি না, তা বলবে সময়। তারপরই রত্না বলেন, শোভন-বৈশাখীর বিয়ে কোনওদিনই হবে না। কারণ তিনি ডিভোর্স দেবেন না শোভনকে। তারপর শোভনের বাড়ি বিক্রি আর বৈশাখীর সেই বাড়ি কেনা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। রত্না পাল্টা জানিয়েছেন, আইনি চিঠি পেলে তিনি যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবেন।