প্রথম পাতা খবর বেলা ১২টা থেকে দুপুর ৩ টে পর্যন্ত খুচরো দোকানগুলি খোলা রাখতে পারবে, ঘোষণা মমতার

বেলা ১২টা থেকে দুপুর ৩ টে পর্যন্ত খুচরো দোকানগুলি খোলা রাখতে পারবে, ঘোষণা মমতার

297 views
A+A-
Reset

কলকাতা: আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত রাজ্যে কার্যত লকডাউন জারি থাকছে ঠিকই। তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে শিথিলতাও আনা হল। সোমবার নবান্ন থেকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, কড়া বিধিনিষেধ আপাতত ১৬ জুন পর্যন্তই চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।


এদিন তিনি জানান, বেলা ১২টা থেকে দুপুর ৩ টে পর্যন্ত খুচরো দোকানগুলি খোলা রাখতে পারবে৷ সেইসঙ্গে তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থাগুলি ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে পারবে। টিকাকরণের পর নির্মাণ শিল্পের কর্মীদের কাজে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকছে দোকান, বাজার। বেলা ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত শাড়ি এবং গয়নার দোকান খোলা রাখতে বলা হয়েছে। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মিষ্টির দোকান খোলা।


করোনা সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতেই লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত বাংলায় কড়া বিধিনিষেধ জারি থাকবে।  ইতিপূর্বে ৩০ মে পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল। এবার সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বেশ কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। তবে ছাড় দেওয়া হল পাটশিল্প এবং নির্মাণ শিল্পের ক্ষেত্রে।

এর পাশাপাশি,  যে যে জায়গায় ঘূর্ণিঝড়ের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেই সমস্ত জায়গায় দুয়ারে ত্রাণ ক্যাম্প হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাশাসক এর সঙ্গে কথা বলার পর জানতে পেরেছি কিছু সমস্যা হচ্ছে। জল জমে থাকার ফলে ত্রাণের সমস্যা হচ্ছে। মানুষের খাবার জল, কোনও পরিষেবার অভাব যেন না হয়। টভাটা যেহেতু জলে ডুবে আছে, তাই ইটভাটার শ্রমিকদের ১০০ দিনের কাজে লাগানো হোক। পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজে লাগানো হোক।


দিঘায় ৭ কিলোমিটার রাস্তার কাজ শেষ করতে হবে। দিঘা আমি নিজে ঘুরে এসেছি। মুখ্যসচিবকে দায়িত্ব দেওয়া আছে। একটা সেচ ব্রিজ পড়ে আছে। কাজ শেষ করতে হবে। মৎস্যজীবীদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি। তাঁদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ৭ কিলোমিটার মেরিন ব্রিজের মতো করছি, সেচ দফতর যে বসবার জায়গা বানিয়েছিল, একটা চেয়ারও নেই। নীচে হাঁটবার জন্য পাথর পাতা ছিল। আমি দেখলাম কংক্রিটের উপরে পাথর বসানো হয়েছে। এটা নিয়ম নয়। কাজে গাফিলতি নিশ্চিতভাবে ছিল বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য প্রকৃতি সহায় রয়েছে। দুয়ারে রেশন চালু হতে দু-তিন মাস সময় লাগবে। বেশি করে কোল্ড স্টোরেজ বানাতে হবে। দুই ২৪ পরগনায় ম্যানগ্রোভ বাড়াতে হবে। বন্যাবিধ্বস্ত এলাকায় শুরু হচ্ছে দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্প। মৎস্যজীবীদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। জেলাশাসক, পুলিশসুপার, থানার আধিকারিক এবং ব্লকের আধিকারিকরা ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করুন।

আরও খবর

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.