গঙ্গাসাগর মেলার বর্জ্য প্লাস্টিক দিয়ে রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হল দক্ষিণ ২৪ পরগনায়

দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এই প্রথম বর্জ্য প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হচ্ছে রাস্তা। ক্যানিং পূর্ব ব্লকের তাম্বুলদহ ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ৪.৮৫ কিলোমিটার লম্বা এই রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এই রাস্তা তৈরি করতে খরচ হবে আনুমানিক ৮০ লক্ষ টাকা।
বর্জ্য প্লাস্টিক দিয়ে পরিবেশবান্ধব রাস্তা এর আগেও তৈরি হয়েছে এই রাজ্যে। তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এই প্রথম বার এমন রাস্তা তৈরি হতে চলেছে।

গঙ্গাসাগর মেলা শেষে প্রচুর প্লাস্টিকের বোতল ও অন্যান্য প্লাস্টিকের সামগ্রী জড়ো হয়। দূষণ রুখতে মেলা প্রাঙ্গণ থেকে সেগুলো সংগ্রহ করে সাগর ব্লক প্রশাসন। সেই সংগৃহীত প্লাস্টিক সামগ্রী নানা পদ্ধতির মধ্য দিয়ে এ বার রাস্তা তৈরির কাজে ব্যবহার করছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। রাস্তা তৈরীর বিটুমিনের সাথে এই বর্জ্য প্লাস্টিক মিশিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে পাকা রাস্তার ওপরের স্তরে পিচের সঙ্গে প্লাস্টিক টুকরো মিশিয়ে প্রলেপ দেওয়া হয়। বাস্তুকারদের দাবি, এতে রাস্তা অনেক বেশি মজবুত হবে। এছাড়া বিটুমিনের পরিমাণ কম লাগবে। ফলে দূষণও কম হবে। একদিকে যেমন প্লাস্টিক পরিবেশের সাথে মিশতে পারবে না, তেমনি কম পরিমাণ বিটুমিনের ব্যবহার কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণও কমাবে।

ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশ মেনে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত পঞ্চায়েতেই শুরু হয়েছে কঠিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। তারই অঙ্গ হিসাবে বর্জ্য প্লাস্টিক ব্যবহার করে এই রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে।

শনিবার, এই রাস্তার কাজের শুভ সূচনা করেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক সৌমেন পাল, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের আধিকারিক ও আরো অনেকে।
জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, ‘সাগর থেকে যে প্লাস্টিক আসে তা শ্রেডিং করে বিটুমিনের সঙ্গে মেশানো হবে। প্রায় ২ টন মশলা এসেছে। স্টেট রুরাল ডেভেলপমেন্ট অথরিটির ইঞ্জিনিয়াররা এ সম্পর্কে রীতিমতো প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। কতটা বিটুমিনে কতো প্লাস্টিক বর্জ্য মেশানো যাবে, কোন পদ্ধতিতে তা মেশানো হবে, সব তাঁরা দেখছেন।’

Related posts

পুজোয় নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে দু’দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস

ফাইনালের আগে সুপার ওভার থ্রিলারে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে রিয়েলিটি চেক পেল ভারত, চিন্তা বোলিং নিয়ে

পুজোর ভিড় সামলাতে শিয়ালদহে বিশেষ ব্যবস্থা, চালু হচ্ছে ৩১টি স্পেশাল ট্রেন