নয়াদিল্লি: ২০১৬ সালে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের নোটবন্দির সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করবে সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দিল, আদালত নিজের ‘লক্ষ্মণ রেখা’র ব্যাপারে ওয়াকিবহাল। কিন্তু যে পদ্ধতিতে এটি করা হয়েছিল তা পরীক্ষা করতে হবে।
বিচারপতি এসএ নাজিরের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকার এবং ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে নোটবন্দির বিষয়ে একটি বিস্তৃত হলফনামা দাখিল করতে বলেছে আদালত। আগামী ৯ নভেম্বর এই মামলার শুনানি করবে। বেঞ্চ জানিয়েছে, কোনো সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে কোনও সমস্যা তুলে ধরা হলে উত্তর দেওয়াটা তার কর্তব্য।
অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরামানি আদালতে জানিয়েছেন, নোটবন্দি একটা সরকারি নীতিগত সিদ্ধান্ত। সেই ব্যাপারে আদালতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তার প্রেক্ষিতেই আদালত নিজের বক্তব্য জানিয়েছে। ১৯৭৮ সালের মুদ্রা আইন অনুযায়ী, সরকার বেআইনি হস্তান্তর রুখতে উচ্চমূল্যের মুদ্রা নোটবন্দি করতেই পারে। যার লক্ষ্য থাকে, দেশের অর্থনীতিকে বিপন্মুক্ত রাখা।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর, রাত ৮টায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হঠাৎ করেই নোটবন্দির ঘোষণা করেন। আচমকা সেই ঘোষণায় চরম দুর্ভোগে পড়েছিলেন সাধারণ মানুষ। দিনের পর দিন দুশ্চিন্তায় কেটেছে দেশবাসীর। এটিএম, ব্যাঙ্কে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন মানুষ। তার পর কেটে গিয়েছে ছ’বছর। এ দিন নোটবন্দিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে করা ৫৮টি মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে।
বিবেক নারায়ণ শর্মা প্রথমে কেন্দ্রীয় সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে আবেদন করেন। এর পর আরও ৫৭টি পিটিশন দাখিল করা হয়। বিচারপতি এসএ নাজির, বিআর গাভাই, এএস বোপান্না, ভি রামাসুব্রমানিয়ান এবং বিভি নাগরত্নের সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ এ দিন জানায়, এটি অ্যাকাডেমিক বা ফলপ্রসূ কি না, তা জানতে বিষয়টি পরীক্ষা করা দরকার।
আরও পড়ুন: বিসিসিআই থেকে কেন বাদ সৌরভ? বিস্ফোরক মন্তব্য মদনের