ডেস্ক: ছত্তীসগঢ়ে মাওবাদীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় যৌথ বাহিনীর এনকাউন্টারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ২২। মাওবাদীদের খোঁজে যৌথ অভিযান চালায় সিআরপিএফের কোবরা বাহিনী, ডিআরজি এবং এসটিএফ৷ তখনই তাঁদের ওপর হামলা চালায় মাওবাদীরা৷ পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও৷ গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারান ২২ জন জওয়ান৷
সিআরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, “মোস্ট ওয়ান্টেড” মাওবাদী নেতা হিদমা ওই জঙ্গলেই উপস্থিত ছিল। তাঁকে ধরার জন্যই এই অভিযান চালানো হয়েছিল, তবে অতর্কিতেই যৌথ বাহিনীর উপর হামলা করে মাওবাদীরা। প্রাথমিক তল্লাশিতে মাওবাদীদের খোঁজ না মেলায় ক্যাম্পে ফিরে আসছিলেন যৌথ বাহিনীর জওয়ানরা। সেই সময়ই চারদিক থেকে হামলা চালায় জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা মাওবাদীরা।
বীজাপুরের এসপি কমলাচোন কাশ্যপ বলেন, সুকমা-বিজাপুরে সীমানায় মাওবাদীদের হামলায় ২২ জন জওয়ান প্রাণ হারিয়েছেন। এই ঘটনায় শহিদদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তিনি বলেন, ছত্তীসগঢ়ের মাওবাদী বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর হত্যা গভীর উদ্বেগের বিষয়। শোকাহত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। দেশ তাঁদের ত্যাগ কখনই ভুলবে না।
আরও পড়ুন: ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩ হাজার ২৪৯
মাওবাদী হামলা প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। উভয় পক্ষের অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। আমাদের জওয়ানরা মৃত্যু বরণ করেছেন। তাঁদের শ্রদ্ধা জানাই। আমি সংশ্লিষ্টদের পরিবারকে বলতে চাই, এই ত্যাগ বৃথা যাবে না।