পর্যটকদের জন্য় অত্য়ন্ত খুশির খবর, দার্জিলিংয়ে দেখা গেল বরফের চাদর। টাইগার হিল ঢাকা পড়েছে সাদা বরফের চাদরে। গোটা পাহাড় জুড়েই কম বেশি বরফের বৃষ্টি দেখল এই মুহূর্তে পাহাড়ে উপস্থিত পর্যটকরা। আর যারা স্বচক্ষে এই বরফ বৃষ্টি দেখা থেকে বঞ্চিত, তাঁরাও উচ্ছ্বসিত এই খবরে এবং দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাচ্ছেন বরফ বৃষ্টির এই ছবি দেখে।
একেই বলের আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা। একদিকে যখন দক্ষিণবঙ্গে তরতরিয়ে বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। ঠিক তখনই একদম উল্টো ছবি দেখা গেল পাহাড়ে। প্রায় গোটা বাংলা জুড়েই যখন উধাও শীতের আমেজ, ঠিক তখনই কনকনে শীতের আমেজ উত্তরবঙ্গের একটা বিস্তির্ণ এলাকা জুড়ে। বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকায়। গত কয়েকদিন ধরে জাঁকিয়ে ঠাণ্ডার আমেজ তো ছিলই। এবার তার সঙ্গে বরফ বৃষ্টি যোগ হওয়ায় একবারে ষোলকলা সম্পূর্ণ হল বলা যায়।
বুধবার থেকে বাংলার আকাশ ঢাকা পড়বে মেঘের চাদরে। এছাড়াও সারা বাংলা জুড়েই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। যেমন কথা তেমনি কাজ। বুধবার সকাল থেকেই দেখা গেল বাংলার আকাশ সত্য়ি সত্য়িই ঢেকে গিয়েছে মেঘের ছাউনিতে। আর অপরদিকে পাহাড়জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে বৃষ্টিপাত। যা কনকনে ঠাণ্ডাকে হাড়হিমকরা ঠাণ্ডায় পরিনত করে ফেল। সঙ্গে উপরিপাওনা হিসেবে শুরু হয় বরফ বৃষ্টি। মঙ্গলের মধ্য়রাত থেকেই শুরু হওয়া এই বরফ বৃষ্টির মনোরম দৃশ্য় উপভোগ করতে সবরকম বিধিনিষেধ ভূলে দলে দলে ভিড় জমাতে শুরু করেন পর্যটকরা।
এদিন এবারের মরশুমের প্রথম তুষারপাতের শুরুটা হয় থিম্পু থেকে। ভুটানের এই রাজধানীর প্রায় গোটাটাই দেখা যায় ঢেকে গিয়েছে সাদা বরফের চাদরে। সোশ্য়াল মিডিয়ায় এই বরফের দৃশ্য় দেখে হাহুতাশ করতে শুরু করেন পর্যটন প্রিয় মানুষরা। থিম্পুর পরপরই বরফ বৃষ্টি শুরু হয় টাইগার হিল ও বাতাসিয়া লুপে। বুধবার দার্জিলংয়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩.৪ ডিগ্রিতে। পাশাপাশি পাহাড় জুড়ে দেখা যায় ঘন কুয়াশার চাদর।