ওয়েবডেস্কঃ শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলের পর টানটান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কাঁথিতে হাইভোল্টেজ সভা তৃণমূলের। সৌগত রায়, ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে প্রথমে সুবিশাল মিছিল, পরবর্তীতে জনসভা। বুধবার কাঁথিতে কার্যত দাপিয়ে বেড়াল তৃণমূল। গোড়া থেকেই শুভেন্দু অধিকারীকে তিনি তীব্র আক্রমণ করে সৌগত রায় বলেন, কাঁথি কোনও পরিবারের জমিদারি নয়। বিশ্বাসঘাতক শুভেন্দুকে মানুষ ক্ষমা করবে না বলে তোপ দাগেন সৌগত। তৃণমূল সাংসদ এদিন বলেন ‘কে তৃণমূল ছেড়ে চলে গেল, কিছু যায় আসে না। আবার প্রমাণ হল মমতার কোনও বিকল্প নেই। যারা সতীশ সামন্তের কথা বলে, তারাই শ্যামাপ্রসাদের দলে! সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে হাত মেলালে মেদিনীপুর ক্ষমা করবে না’। একইসঙ্গে এদিনের সভা থেকে কেন্দ্রকে এক হাত নেন সৌগত রায়। তিনি বলেন, করোনার টিকা কবে আসবে বলতে পারছেন না। অথচ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রোজ রাজ্যে আসছেন! অতিমারীর মোকাবিলাতেও ব্যর্থ কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের কৃষিক্ষেত্র এখন বড় সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আদানি-অম্বানিদের আসার সুযোগ করে দিচ্ছে মোদি সরকার। আন্দোলনরত কৃষকদের প্রতি সমর্থন আছে তৃণমূলের। পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি দায়িত্ব পালন করেনি কেন্দ্র। মোদি সরকারের অপরিকল্পিত লকডাউনে ভোগান্তি । আসন্ন বিধানসভায় ৯৯টির বেশি আসন পাবেনা বিজেপি। অমিত শাহ বাংলা নিয়ে দিবাস্বপ্ন দেখছেন। মমতা না গেলে জাতীয় মানচিত্রে নন্দীগ্রাম উঠে আসত না। মমতাকেই তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে। একইসঙ্গে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার বঙ্গ সফরের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি বলেন, ডায়মন্ডহারবারের ঘটনাকে অহেতুক বড় করে দেখানো হচ্ছে। আইপিএসদের জোর করে সরালে লড়াই হবে। পাশাপাশি এদিনের সভা থেকে অমিত শাহের বঙ্গ সফরকে জোরাল কটাক্ষ করেন সৌগত রায়। তিনি বলেন, “মোটা ভাই অমিত শাহ হনুমানের মতো লাফিয়ে বারবার বাংলায় আসছে।” সৌগত রায়ের পাশাপাশি শুভেন্দুকে একহাত নেন ফিরহাদ হাকিমও। তিনি বলেন, ‘শিশির অধিকারীর ছেলে হয়ে রাজনীতিতে লিফটে উঠেছ আর তুমি পরিবারতন্ত্রের কথা বল? ২০০৯-এ এত অল্প বয়সে সাংসদের টিকিট পেয়েছিলে শুধু শিশির অধিকারীর ছেলে বলে।’ তবে এদিনের মিছিল বা সভায় দেখা মিলল না অধিকারী পরিবারের কাউকেই। শরীর খারাপের বাহানায় অনুপস্থিত থাকেন শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী। কেন শিশির কিংবা দিব্যেন্দু অধিকারীকে দেখা গেল না কাঁথির সভায়? তবে কী বাড়ির ছেলের পথই অনুসরণ করতে চলেছেন তাঁরাও। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর চর্চা।
426