ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় রাজ্যকে নোটিস দিল সুপ্রিম কোর্ট। ৭ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি। নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় মৃত্যুর তদন্তে SIT গঠনের আবেদন জানিয়ে আগেও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল নিহতদের পরিবার। তার ভিত্তিতে মঙ্গলবার নোটিস জারি হল সুপ্রিম কোর্ট।
পাশাপাশি এই মামলায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, মহিলা কমিশন ও এসসিএসটি কমিশনকে পার্টি হিসেবে যুক্ত করার আবেদন জানিয়েছেন আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী পিঙ্কি আনন্দ।
২ মে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের পর হিংসা ও অশান্তির ঘটনা ঘটেছে বলে সুপ্রিম কোর্টে এই জনস্বার্থ মামলা হয়। আজ, বিচারপতি বিনীত সরণ ও বিচারপতি বিআর গাভালের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি। শুনানির পর কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়কেই নোটিস দেওয়া হয়েছে শীর্ষ আদালতের তরফে।
ইতিমধ্যেই এই ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এ রাজ্যে এসেছিলেন জাতীয় মহিলা কমিশন, তফশিলী কমিশনের প্রতিনিধিরা।
আজ, বিচারপতি বিনীত সরণ ও বিচারপতি বিআর গাভালের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি হয়। শুনানির পর কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়কেই নোটিস দেওয়া হয়েছে শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে। আবেদনকারীরা হলেন, অরুণ মুখোপাধ্যায়, দেবযানী হালদার, প্রশান্ত দাস, পারমিতা দে, ভূপেন হালদার। এর মধ্যে অরুণ মুখোপাধ্যায় ও দেবযানী হালদার সমাজকর্মী এবং প্রশান্ত দাস কোচবিহারের বাসিন্দা, যিনি ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত বলে দাবি।
মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে পিটিশনাররা জানান, বাংলার পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং জাতীয় মহিলা কমিশন। তার ভিত্তিতে দুই কমিশনকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দেয় বিচারপতি বিনীত সরণ এবং বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের অবসরকালীন বেঞ্চ। সেইসঙ্গে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে প্রতিক্রিয়া দেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।