কলকাতা: একুশের বিধানসভায় নন্দীগ্রামে যুযুধান প্রতিদ্বন্দ্বী মমতা বনাম শুভেন্দু। মনোনয়ন করেলেন মমতা। একই দিনে নন্দীগ্রামে দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করলেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানালেন ভূমিপুত্র। তিনি বলেন “দড়ি ধরে মারো টান, রানী হবে খান খান’।
এদিনের ভাষণে ছত্রে ছত্রে ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ। শুভেন্দু এদিন মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে মমতার ভাষণ ও চন্ডীপাঠ-এর রেকর্ডেড অংশ মাইকে শোনান। তার পরেই চালিয়ে দেন মহিষাসুরমর্দিনীর চন্ডীপাঠ। পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি চাই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগিজি একবার এখানে আসে ভাষণ দিন। স্তোত্র পড়ুন। তিনি গোরক্ষপুর মঠের সাধু। তাহলে স্তোত্রপাঠ কী সেটা মানুষ বুঝবেন।”
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি এবার বুথে বুথে যাবো। বিজেপি কর্মীদের মার্চে। কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। এখন মাননীয়ার মুখে ইনশা আল্লাহ নেই। বেড়াল তারা খেলে গাছে ওঠে, সেটা দেখা যাচ্ছে। এই তো কাল চটি পরে জানকীনাথ মন্দিরে গেলেন। আমি কাল জানকীনাথ মন্দিরে যাবো। বাবার মাথায় জল ঢালবো।”
আরও পড়ুনঃ নন্দীগ্রামে মনোনয়ন পেশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
স্বনিযুক্তি প্রকল্পের কর্মীদের প্রতি শুভেন্দুর বক্তব্য, “আপনাদের যে টাকা দেওয়া হয় সেটা মোদিজির টাকা। রাজ্যে বিজেপি সরকার এলে বিনা পয়সায় শিক্ষা দেওয়া হবে। ৭৫০ টাকা বছরে নয়। শিক্ষা, শিল্প কিছু নেই। শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন, “আমি নন্দীগ্রামের ঘরের ছেলে। ১২ তারিখ মনোনয়ন জমা দিতে আমার সঙ্গে থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, স্মৃতি ইরানি। রাজ্যে কোনও উন্নয়ন হয়নি। মাননীয়া রিপোর্ট কার্ডের নাম যা বলছেন তা ‘ঢপের চপ’। তিনি সব সময় নন্দীগ্রামকে হিংসা করেছেন।