আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের রাজনীতি করছে কেন্দ্র, সৌগত রায়

ডেস্ক: আলাপন ইস্যুতে ফের একবার কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত। কর্মীবর্গ এবং প্রশিক্ষণ বিভাগের পক্ষ থেকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে একটি চিঠি সোমবারই সামনে এসেছে। যেখানে লেখা হয়েছে, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় যে ধরনের আচরণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনে করেছেন, তা শৃঙ্খলাভঙ্গের শামিল। সেই কারণে তাঁর বিরুদ্ধে একটি তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের রাজনীতি করছে তারা। মঙ্গলবার প্রাক্তন মুখ্যসচিবের পাশে দাঁড়িয়ে এই দাবি করল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের সাংসদ সৌগত রায় অবসরের পরেও কীভাবে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে শোকজ করতে পারে কেন্দ্র? তা নিয়ে প্রশ্ন তৃণমূলের।

ভোটের ফলাফলে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। আর এরপর থেকে প্রতিহিংসার রাজনীতি কেন্দ্রীয় সরকার শুরু করেছে বলে অভিযোগ তৃণমূল। এদিন আলাপন ইস্যুতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী মোদীর নির্দেশে এই সমস্ত কাজ চলছে। কর্মীবর্গ মন্ত্রকটি পিএমও’এর মধ্যে। ফলে সবটা তাঁর নির্দেশে হচ্ছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ। আর জেনে বুঝেই এভাবে প্রতিহিংসার রাজনীতি কেন্দ্রীয় সরকার চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ বর্ষীয়াণ এই সাংসদের।


কেন্দ্রীয় কর্মিবর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতর প্রধানমন্ত্রীর অধীনস্থ বলে মনে করিয়ে সৌগত বলেন,’প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই এটা হচ্ছে। নিষ্ঠুর, হৃদয়হীন আচরণ করছে কেন্দ্র।’বাঙালি অফিসারকে অপদস্থ করা হলে বাংলার মানুষ মেনে নেবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সৌগত। তাঁর কথায়,’পশ্চিমবঙ্গের মানুষ দেখছে, সৎ, দক্ষ বাঙালি অফিসারকে অপমানের চেষ্টা করছে কেন্দ্র। বাইরে থেকে বাঙালি অফিসারকে চাপ দেওয়ার চেষ্টা সহ্য করবে না বাংলার মানুষ।’        

আরও পড়ুন: সারদা-কাণ্ডে টাকা ফেরতে এক সদস্যের কমিটি তৈরির ভাবনা হাইকোর্টের

এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আরও এক মারাত্মক অভিযোগ তোলেন বর্ষীয়াণ এই সাংসদ। তাঁর মতে, কেন্দ্রীয় সরকার পরিকল্পনা করে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর আঘাত হানার চেষ্টা করছে। আলাপণকে যেভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে তাতে রাজ্যের অফিসারদেরও ভীত করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ সৌগত রায়ের। আর অফিসার-কর্মীদের বিচলিত করে প্রশাসনকে দুর্বল করার সবরকম চেষ্টা কেন্দ্রীয় সরকার চালাচ্ছে বলে বিস্ফোরক মন্তব্য তাঁর। তবে একজন আমলাকে ছাড়বে কি ছাড়বে না রাজ্য সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার সংশ্লিষ্ট রাজ্যকে দেওয়া রয়েছে। 

Related posts

হুগলির ধনিয়াখালিতে বিক্ষোভের মুখে লকেট, অশান্ত পরিস্থিতি

ভোট চলাকালীন ঝেঁপে বৃষ্টি, ছাতা মাথায় ভিড় ভোটারদের

দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝেঁপে বৃষ্টি, জারি কমলা সতর্কতা