কলকাতা: : রবিবার থেকে কার্যত লকডাউন ফিরতে চলেছে বাংলায়৷ করোনা মোকাবিলায় আগামী দু-সপ্তাহের জন্য রাজ্যে আরও কড়া বিধি পালনের কথা ঘোষণা করল সরকার। আগামিকাল ১৬ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত একাধিক ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ চালু করা হল। আজ, সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানালেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। বন্ধ থাকবে সমস্ত সরকারি-বেসরকারি অফিস। বন্ধ থাকবে বাস, অটো, মেট্রো। অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবায় ছাড় মিলবে শর্ত সাপেক্ষে।
মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
একনজরে নির্দেশিকা:
- সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। সব স্কুল কলেজ পলিটেকিক এবং সব শিক্ষা, অঙ্গনওয়াড়ি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
- সব সরকারি-বেসরকারি অফিস-প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। কেবল অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা চালু থাকবে।
- শপিংমল, সুইমিংপুল, রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকবে।
- শুধু রাজ্যের মধ্য়েই নয়, আন্তঃ রাজ্য বাস, ট্রেন চলাচলও বন্ধ থাকবে৷ জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত না থাকলে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়েও রাস্তায় বেরনোর উপর কড়াকড়ি জারি থাকবে৷ চিকিৎসা সামগ্রী, অক্সিজেন, খাদ্য সামগ্রী ছাড়া আর কিছুই নিয়ে যাওয়া যাবে না। ট্যাক্সি পরিষেবা চালু থাকবে এমার্জেন্সি পরিষেবার জন্য। লঞ্চ পরিষেবাও বন্ধ থাকবে।
- শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত গাড়ি, চিকিৎসা, সংবাদমাধ্যম, হাসপাতাল, ক্নিনিক, বিমানবন্দর থেকে গাড়ি, টার্মিনাল পয়েন্ট থেকে গাড়ি চলাচল করতে পারবে।
- রাজ্যের অন্দরে খাদ্যসামগ্রীর ট্রাক ছাড়া অন্যান্য ট্রাক চলাচল বন্ধ। রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বাইরে বেরোনো যাবে না।
- মুদিখান, খুচরো দোকান, বাজার, যা কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় সেগুলি কেবল সকাল ৭টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
- মিষ্টির দোকান সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
- ওষুধের দোকান, চশমার দোকান স্বাভাবিক সময় খোলা থাকবে।
- বন্ধ পার্ক, চিড়িয়াখানাও।
- বিয়েবাড়িতে ৫০ জনের বেশি নয়। সৎকারে ২০ জনের বেশি লোক নয়।
- ব্যাংক ও এটিএম সকাল ১০টা থেকে ২টো পর্যন্ত চালু থাকবে।
- চালু থাকবে হোম ডেলিভারি ও ই কমার্স।
- রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক – সবরকম জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা।
- চা বাগানে ৫০ শতাংশ কর্মী উপস্থিত থাকতে পারবেন। জুটমিলে কর্মী উপস্থিতি সর্বাধিক ৩০ শতাংশে বেঁধে রাখা হচ্ছে।
- পেট্রোল পাম্প, অটো রিপেয়ারিংয়ের দোকান খোলা থাকবে।
এদিন নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সবাইকে এই নির্দেশ মেনে চলতে হবে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাইরে বেরোনোর ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিধিনিষেধ না মানলে মহামারী আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।