ভূমিকম্পে ১৫ হাজার পার মৃতের সংখ্যা, ‘গাফিলতি’ মেনে নিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট

ভয়াবহ ভূমিকম্পে বুধবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েই গিয়েছে তুরস্ক এবং সিরিয়ায়। উদ্ধারকাজ নিয়ে তীব্র সমালোচনার মধ্যেই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান মেনে নিলেন, ‘গাফিলতি’ ছিল।

গত সোমবার দফায় দফায় ভূমিকম্পে ধুলিস্যাৎ হয়েছে হাজার হাজার বিল্ডিং। ঠিক কত সংখ্যক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়েছিলেন, তার নির্দিষ্ট সংখ্যা নিরূপণও সম্ভব হয়নি। এরই মধ্যে তুষারপাত ও হাড় কাঁপানো ঠান্ডার সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াই করে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা কিন্তু সাহায্য পৌঁছতে বিলম্বের কারণে থেমে গিয়েছে ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া বহু মানুষের প্রাণের ধুকপুকুনি।

এ ব্যাপারে তীব্র সমালোচনা শুরু হয় নেট মাধ্যমে। সমালোচনা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলির মধ্যে একটি, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল কাহরামানমারাস পরিদর্শন করেন এরদোগান। নিজের প্রতিক্রিয়ায় সমস্যার কথা স্বীকারও করেন তিনি। তাঁর কথায়, “অবশ্যই, কিছু ত্রুটি রয়েছে। কেন এমন ঘটেছে সেটা তো স্পষ্ট। কিন্তু এই ধরনের দুর্যোগের জন্য প্রস্তুত থাকা সম্ভব নয়।”

সংবাদ সংস্থা এএফপি-র সাংবাদিক এবং নেটব্লকস ওয়েব মনিটরিং গ্রুপের মতে তুর্কির মোবাইল নেটওয়ার্কে টুইটারও কাজ করছিল না।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার ভোর থেকে দফায় দফায় ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক, সিরিয়া এবং পার্শ্ববর্তী লেবানন, ইজরায়েলের মতো চারটি দেশ। এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে তুরস্কে। সেখানে প্রথমবার রিখটার স্কেলে ৭.৮। তার পর ৭.৬ ও তৃতীয়বার ৬.০ মাত্রার ভূমিকম্পের জেরে শুরু হয় মৃত্যুমিছিল। তার পর থেকে যতই ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করা হচ্ছে, ততই বেরিয়ে আসছে নিস্তেজ, নিথর মানুষদের দেহ।

Related posts

বাড়ছে তাপমাত্রা, বৃষ্টির সম্ভাবনা উপকূল ও সংলগ্ন কয়েকটি জেলায়

রচনার সমর্থনে আজ নির্বাচনী জনসভায় মমতা

‘প্রধানমন্ত্রী মোদী মিথ্যা বলছেন, প্রতিটা ভোটে হিন্দু-মুসলমান করে বিজেপি’, তোপ প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর