ডেস্ক: ত্রিপুরায় ফের তৃণমূল প্রার্থীর উপর হামলা অভিযোগ। জানা গিয়েছে, আগরতলা পুরভোটের মহিলা তৃণমূল প্রার্থী অভিযোগ জানাতে যান থানায়। সে সময় পুলিশের সদর কার্যালয় থেকে তাঁকে চ্যাংদোলা করে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
সোমবার আগরতলা পুরসভায় তৃণমূলের মহিলা প্রার্থী পান্না দেবকে পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ ঘিরে চলছে জোর চাপানউতোর। এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন দলীয় প্রার্থীকে পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘ত্রিপুরার পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ’’। ত্রিপুরা পুরভোটে তৃণমূলের ভারপ্রাপ্ত নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “বিজেপি আতঙ্কিত। তাদের এই আচরণের যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।”
আগরতলা পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর পান্না দেব এ বার তৃণমূলের টিকিটে ভোটে লড়ছেন। তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগ, প্রচারে বেরোতে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনার প্রতিবাদেই তিনি এসপি অফিসে গিয়ে প্রতিবাদ জানাতে যান। সেখানে গেলে তাঁকে গেলে চ্যাংদোলা করে বার করে দেওয়া হয়। এরপর তাঁকে আগরতলা পশ্চিম মহিলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ওই তৃণমূল প্রার্থীকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা যায়। তবে গ্রেফতারের কিছুক্ষণ পরই তিনি জামিন পেয়ে যান।
পান্নাদেবী জানান, প্রচারের সময় বিজেপির দুষ্কৃতীরা তাঁদের বাধা দেয়। এমনকী, তৃণমূল সমর্থকদেরও মারধর করা হয়। পুলিশে অভিযোগ জানাতে গেলে তারাও বিজেপির সুরে সুর মেলায় বলে অভিযোগ করেন তিনি। এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের অভিযোগ, ত্রিপুরায় বিজেপি জঙ্গলরাজ চালাচ্ছে। ত্রিপুরার তৃণমূল নেতা আশিসলাল সিংহ বলেন, “বিজেপি কাপুরুষের মতো আচরণ করছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অবমাননা করছে তারা”।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রের আবেদনে আলাপন-মামলার শুনানি পিছোল সুপ্রিম কোর্ট
উল্লেখ্য,ত্রিপুরায় পুরভোটের আগে দলীয় প্রার্থীদের উপর হামলার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল। সেই মামলার শুনানিতেই গত বৃহস্পতিবার কড়া নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়ে আদালত জানায়, “নির্বাচনে সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রচারের অধিকার আছে। নির্বিঘ্নে প্রচারের জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে রাজ্য সরকারকে। অবাধ-শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য পদক্ষেপ নিক পুলিশ। আদালতের রায় এই কী ভাবে পালন করা হচ্ছে, ত্রিপুরার স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজিপি-কে তার রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে”।