কলকাতা: রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করেছে ইডি। দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতার গ্রেফতারিতে বিজেপিকে তুলোধনা করেছেন তৃণমূল নেতারা।
তৃণমূলের বক্তব্য, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই জ্যোতিপ্রিয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জ্যোতিপ্রিয়ের বাড়িতে যখন তল্লাশি চলছে তখন, কালীঘাটের বাড়ি থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, “ওদের প্রতিহিংসার সীমা ছাড়াচ্ছে! বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা বিনিময় চলছে, তখন ভোর বেলায় বালুর বাড়িতে রেড হচ্ছে। ক্ষমতায় আছে বলে সব করছে। কিন্তু ক্ষমতা চিরদিন থাকবে না! নতুন প্রজন্ম আসবেই”।
রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এ দিন বলেন, “কাউকে গ্রেফতার করা মানেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হওয়া নয়। আগেও গ্রেফতার হয়েছে। তাঁদের বিচার এখনও চলছে। বিজেপি বুঝতে পারছে বাংলায় তাঁদের অবস্থা আরও সঙ্গীন। পরের লোকসভা ভোটেও জনসমর্থন পাবে না। তাই প্রশাসনিক নয়, তদন্তকারী সংস্থাকে এ ভাবে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল নেতাদের একে একে জেলে পাঠাচ্ছে”।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হওয়ার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছিলেন বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সেই পোস্টকে উল্লেখ করে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ লেখেন, ‘‘শুভেন্দু, আপনি আপনার দলের ওয়াশিংমেশিন রাজনীতির জন্য আজকে নিরাপদে রয়েছেন। খাঁচার কুকুর ইডি এবং সিবিআইকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বিরোধী নেতাদের উপর। বিজেপি প্রমাণ করে দিয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। নইলে আমরা সবাই জানি, আপনারও জেলে বসে থাকা উচিত ছিল। তা হলে আর এ সব মিম পোস্ট করতে পারতেন না।’’
প্রসঙ্গত, এ দিন ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হলে অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজ্যের মন্ত্রী। তাঁকে এজলাস থেকে স্ট্রেচারে শুইয়ে বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থা দেখেই তাঁকে কমান্ড হাসপাতালে স্থানান্তর করে পরবর্তী চিকিৎসার বিষয়টি দেখা হবে বলেই নির্দেশ আদালতের। ইমারজেন্সিতে জ্যোতিপ্রিয়কে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।