ভয়াবহ কালবৈশাখীর তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড দিল্লি। ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার। ঝড়ের দাপটে সাতসকালেই রাজধানী অন্ধকারে ডুবে যায়। ভারী বৃষ্টির জেরে রাজ্যের একাধিক জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়েছে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান পরিষেবাও বিঘ্নিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সোমবার একেবারে ভোররাত থেকে কালবৈশাখীর তান্ডব শুরু হয়। গত কয়েকদিন ধরেই পরিস্থিতি ক্রমশ গরম বাড়ছিল। সঙ্গে প্রবল অস্বস্তি। এই অবস্থায় প্রবল ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। যদিও এই অবস্থা আগামী ৪৮ ঘন্টা বজায় থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ঝড় তাণ্ডব চালায় টানা দুঘণ্টা। সাড়ে ছ’টা নাগাদ মৌসম ভবনের তরফ থেকে বলা হয়, দিল্লি এবং দিল্লি সংলগ্ন এলাকায় ৬০ থেকে ৯০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া আরও দু’ ঘণ্টা চলতে পারে। সেই সঙ্গে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিও হবে। কোথাও কোথাও অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে ঘনঘন বাজ শব্দ। দিল্লির বেশ কিছু এলাকা জলে ডুবে গিয়েছে। রাস্তায় প্রবল যানজট। রানওয়েতে জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় বিমান পরিষেবা বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখতে হয়েছিল।
প্রবল ঝড়ের কারণে দিল্লির একাধিক জায়গাতে গাছ উপড়ে পড়েছে। যার জেরে একাধিক রাস্তা সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে খবর। যদিও ইতিমধ্যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। শুরু হয়েছে রাস্তা থেকে গাছ সরানোর কাজ। অন্যদিকে প্রবল ঝড় বৃষ্টির পরেই ব্ল্যাক আউট হয়ে যায় গোটা দিল্লিজুড়ে। অন্ধকারে ডুবে যায় রাজধানী। এই অবস্থা একেবারে আতঙ্কিত করে তোলে মানুষজনকে।
প্রবল ঝড়-বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের কারণে ব্যাহত হয় বিমান চলাচলও। একের পর এক বিমানকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি ভোররাত থেকে শুরু হওয়া প্রবল ঝড়ের কারণে উড়তেই পারেনি একাধিক বিমান। শেষে রাজধানীর বিমানযাত্রীদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা জারি করে বিমান পরিবহণ সংস্থাগুলিও। বিমানবন্দরে যাওয়ার আগে উড়ানের সময়সূচি পরিবর্তন হয়েছে কি না, যাত্রীদের তা দেখতে অনুরোধ জানিয়েছে বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন্স।