ডেস্ক: আজকের মধ্যেই অবরোধমুক্ত করতে হবে বিশ্বভারতীকে। ৫০ মিটারের মধ্যে যাতে কোনও বিক্ষোভ না হয়! নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। দুপুর তিনটের মধ্যে প্রশাসনিক ভবন , উপাচার্যের বাসস্থান সহ যেখানে যেখানে তালা বন্ধ করা আছে সমস্ত তালা শান্তিনিকেতন থানার পুলিশকে ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বভারতীর বিক্ষোভ নিয়ে অসন্তুষ্ট বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। এদিন সওয়াল জবাব চলাকালীন বিচারপতির বক্তব্য, “রাজ্যের দায়িত্ব পালন দেখে আমি বেশি চিন্তিত।” ভাইস চ্যান্সেলর বিদ্যুত্ চক্রবর্তীকে নিরাপত্তা দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
আজকের শুনানিতে হাইকোর্ট কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কোন বিক্ষোভ করা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ মিটার এলাকার মধ্যে কোন বিক্ষোভ নয়। দুপুর ৩ টে থেকে প্রশাসনিক ভবন , উপাচার্যের বাসস্থান সহ যেখানে যেখানে তালা বন্ধ করা আছে সমস্ত তালা শান্তিনিকেতন থানার পুলিশকে ভেঙে দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কর্মীকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয় যাতে স্বাভাবিকভাবে চলে তার জন্য প্রশাসনকে কড়া নজর রাখতে হবে। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোন রকম মাইকের ব্যবহার করা যাবে না।
আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিটের দায়িত্বে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি চেল্লুর
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva-Bharati University) এলাকায় কোনও রকম মাইক ব্যবহার করা যাবে না। উপাচার্যের নিরাপত্তার জন্য শান্তিনিকেতন থানার তিনজন কনস্টেবলকে নিয়োগ করতে হবে। সমস্ত সিসি ক্যামেরা চালু করতে হবে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, “নিজের হাতে আইন তুলে নেবেন না? এটা ট্রেড ইউনিয়ন নয়। ছাত্র ইউনিয়ন। এটা ভুলে যাবেন না।” বিশ্বভারতী মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের।