গরমে হাঁসফাঁস গোটা রাজ্য, স্বস্তি ফিরতে ঢের বাকি

দহন থেকে বাঁচতে। ছবি: রাজীব বসু

কলকাতা: তীব্র তাপপ্রবাহের প্রভাব দক্ষিণবঙ্গের একের পর এক জায়গা। এমনকী, উত্তরবঙ্গের মালদহও রেহাই পাচ্ছে না তাপপ্রবাহ থেকে। আগামী শনিবার পর্যন্ত রাজ্যের পাহাড়ি দু’টি জেলা বাদ দিলে বাকি সর্বত্র তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। 

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানা গিয়েছে, চলতি বছর এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে বেশ কয়েক দিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। দোসর ছিল তাপপ্রবাহ। গরমের এই দীর্ঘ ‘স্পেল’ কলকাতায় বেশ বিরল। এমনকি, গত ৫০ বছরে এপ্রিল মাসে রাজ্যে গরমের এ হেন তীব্রতা এবং স্থায়িত্ব একসঙ্গে খুব একটা দেখা যায়নি।

ভারতীয় মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার ভারতের যে জায়গায় সবথেকে বেশি গরম পড়েছে, সেটা হল পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুণ্ডা। মঙ্গলবার সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৭.২ সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছিল। যা স্বাভাবিকের থেকে ১০.৪ ডিগ্রি বেশি বলে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, কলকাতার আলিপুরে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তীব্র দহন থেকে মুক্তির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তারা জানিয়েছে, রবিবার দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলায় হালকা বৃষ্টিপাত ও বজ্রপাত হতে পারে। পরের দিন, সোমবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায়। বঙ্গোপসাগর থেকে ঢোকে দখিনা হাওয়া ও জলীয়বাষ্প। সেজন্য দক্ষিণবঙ্গে গরমকালে ঝড়বৃষ্টি হয়। সেই বাতাস আগামী রবিবারের পর থেকে রাজ্যে ঢোকা শুরু করতে পারে বলে পূর্বাভাস। এর ফলে বৃষ্টি শুরু হতে পারে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে।

Related posts

হাজি নুরুল জেতার পর মমতার প্রথম ভিজিট সন্দেশখালি, ঘোষণা বসিরহাটে

নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে ‘ চোর ‘ স্লোগান শুনলেন শুভেন্দু

দেশের ৪৯টি আসনে ভোটের হার ৬০.০৯ শতাংশ, পশ্চিমবঙ্গের সাতটি আসনে ৭৪.৬৫ শতাংশ