সপ্তাহ জুড়ে দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টি এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সমুদ্রও থাকবে উত্তাল। ইতিমধ্যেই মৎস্যজীবীদের জন্য জারি হয়েছে সতর্কতা। পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার উপকূলে আপাতত তিন দিন মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
মৌসুমি বায়ু মিজোরাম, মণিপুর ও নাগাল্যান্ডে ঢুকে পড়েছে। আগামী দিনে তা আরও উত্তর-পূর্ব এবং বঙ্গোপসাগরের দিকে অগ্রসর হবে। এরই মধ্যে ২৭ মে-র মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। যার প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়ায়। ২৮ মে থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও হতে পারে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি, সঙ্গে ৩০–৪০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া।
সোমবার ঝড়বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে। মঙ্গলবার একইসঙ্গে কলকাতা, হাওড়া ও হুগলিতেও হবে বৃষ্টি। বুধবার থেকে শুরু হবে আরও তীব্র দুর্যোগ। দুই ২৪ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বৃষ্টি বাড়বে আরও, কবলিত হবে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান ও বীরভূম। ঝোড়ো হাওয়াও বইবে একই সময়ে।
শনিবারও মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমে দুর্যোগ অব্যাহত থাকবে।
উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি শুরু হবে বৃহস্পতিবার। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। শুক্রবার ও শনিবার অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে।
কেরলে বর্ষা ঢুকেছে নির্ধারিত সময়ের আট দিন আগে। পশ্চিমবঙ্গেও দু’-এক দিনের মধ্যেই আগাম বর্ষা প্রবেশ করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।