প্রথম পাতা খবর ‘নারদাকাণ্ডে মুকুল-শুভেন্দু-শঙ্কুদেবকে কেন গ্রেফতার করা হল না’, প্রশ্ন কুণাল-সৌগত’র

‘নারদাকাণ্ডে মুকুল-শুভেন্দু-শঙ্কুদেবকে কেন গ্রেফতার করা হল না’, প্রশ্ন কুণাল-সৌগত’র

119 views
A+A-
Reset

কলকাতার: আজ সকালে নাটকীয় ভাবে ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে নারদ কাণ্ডে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে উত্তাল শহর কলকাতা। ওই মামলায় জড়িত মুকল রায়, শুভেন্দু আধিকারীরা কোথায়? প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তাহলে প্রশ্ন উঠছে, দল বদলেই কি মিলল ছাড়? এ বিষয়ে অবশ্য আগেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার তত্ত্ব খাঁড়া করেছে তৃণমূল।


ফিরহাদ হাকিম, শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও সুব্রত মুখোপাধ্য়াকে আটক করে নিজাম প্যালেসে নিয়ে এসেছে সিবিআই। যদিও ফিরহাদের দাবি তাঁকে নারদা মামলা গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে সিবিআই সূত্রে খবর, গ্রেফতার নয়, আটক করা হয়েছে তাঁদের। 

কুণাল ঘোষ
এনিয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, এটা গ্রেফতার কী গ্রেফতার নয় তা জানার চেষ্টা করছি।  যতক্ষণ না তা জানতে পারছি ততক্ষণ কিছু বলা যাবে না। বিষয়টি জানা গেল দল তা নিয়ে ব্যবস্থা নেবে। তবে বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর প্রতিহিংসা পরায়ণ আচরণ করছে বিজেপি। চার্জশিটই যদি দেওয়া হয় তাহলে, বাড়ি থেকে তুলে এনে চার্জশিট দেওয়ার জায়গা নেই।


এদিন তিনি প্রশ্ন তুলেছেন মুকুল রায় ও শুভেন্দু কোথায়? এই নারদা মামলায় মুকুল রায় বলছে মির্জাকে আমার হয়ে টাকা দাও। মির্জা বলেছে, আমি মুকুল রায়ের হয়ে টাকা তুলি। মুকুল রায় কোথায়! এফআইআরে শুভেন্দু, মুকুলের নাম রয়েছে। তারা কোথায়। শঙ্কুদেব পন্ডা বলছে, আমাকে শেয়ার দিলে আমি দালালির কাজ করব। তাকে কেন অ্যারেস্ট করা হয়নি। ফিরহাদ পুরসভার মুখ্য প্রশাসক। কোভিড পরিস্থিতিতে গোটা সিস্টেমটাকে গোছানোর কাজ চলছে। সেই সিস্টেমটাকেও ভেঙে দিতে নেমেছে বিজেপি।


এদিন তিনি বলেন, মুহূর্তে নারদাকাণ্ডে মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী ও শঙ্কুদেব পাণ্ডাকে গ্রেফতার করতে হবে। তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে তাদের ছেড়ে দিয়ে ফিরহাদ হেকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্রকে গ্রেফতার করা হবে বেআইনি ভাবে এটা ঠিক হচ্ছে না।” কুণাল ঘোষ এদিন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি নিয়ে বলেন,”শোভন এখন বিজেপিতে বেকায়দায় আছেন বলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”

বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়
এই গ্রেফতারি প্রক্রিয়াকে বেআইনি বলে উল্লেখ করেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, বিধায়ককে গ্রেফতার করতে হলে, বিধানসভার অধ্যক্ষের অনুমতি নেওয়া জরুরি। এক্ষেত্রে তা নেওয়া হয়নি। চার্জশিট পেশে রাজ্যপালের অনুমোদন বেআইনি। 

সৌগত রায়
তৃণমূল নেতা সৌগত রায় বলেন, “মোদী-অমিত শাহর নির্দেশে এসব হচ্ছে। আদালতে মোকাবিলা হবে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক কাজ। নির্বাচনে হেরে যাওয়াতেই এমনটা করল ওরা। সিবিআই একটা খাঁচাবন্দি তোতা।”

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
অন্যদিকে, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “রাজ্যপাল বিজেপির হয়ে কাজ করছেন। এই গ্রেফতারি অসাংবিধানিক।”

আরও পড়ুন: আমাকেও গ্রেফতার করুন ‘ নিজাম প্যালেসে সিবিআইকে হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর

ম্যাথু স্যামুয়েল
ম্যাথু স্যামুয়েল বহুল প্রচারিত সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, তাঁর কাছে যে খবর রয়েছে, তাতে শুভেন্দু অধিকারি টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছিলেন। এরপরও তাঁকে গ্রেফতার করা হল না,সেই প্রশ্ন তুলেছেন নারদ-কর্তা।  তিনি বলেছেন, সুবিচার পেতে দেরি হল অনেকটাই। কিন্তু দেরি হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চার জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এতে আমি সন্তুষ্ট।


তৃণমূল কর্মী সমর্থক, ফিরহাদের অনুগামীরা তাঁর বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে যান। রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরেও চলে বিক্ষোভ। তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোনও লকডাউন মানছেন না তাঁরা। বিক্ষোভ চলবে। বিক্ষোভরত এক কর্মীই প্রশ্ন তোলেন, “শুভেন্দু, মুকুলকে কেন গ্রেফতার করা হল না? যদি ওঁদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা না হয়, তাহলে গোটা বাংলায় আগুন জ্বলবে।

আরও খবর

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সম্পাদকের পছন্দ

টাটকা খবর

©2023 newsonly24. All rights reserved.