ডেস্ক: নারদ কাণ্ডে ফিরহাদ হাকিম , শোভন চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও মদন মিত্রকে গ্রেফতার করেছে CBI। গ্রেফতারের প্রতিবাদে রণক্ষেত্র নিজাম প্যালেস।করোনা বিধি শিঁকেয় তুলে নিজাম প্যালেসের সামনে তৃণমূল কর্মীরা ব্যাপক বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। অন্যদিকে, রাজভবনের সামনে বিক্ষোভ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের। মোতায়েন পুলিশ বাহিনী।
দফায় দফায় ইট বৃষ্টি। ইট ছোড়া হয় সিবিআই দফতরকে লক্ষ্য করে। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। বাহিনীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি তৃণমূল কর্মীদের। ব্যারিকেড ভেঙে ঢোকার চেষ্টা, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের ব্যাপক ধস্তাধস্তি।
রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ আর নিজাম প্যালেসে সিবিআই অফিসের ১৫ তলায় ২ ঘণ্টারও বেশি বসে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও মদন মিত্রর সঙ্গে। এই গ্রেফতারি বেআইনি, গ্রেফতার করা হোক তাঁকেও, সিবিআই অফিসারদের জানান। গোটা আবহে এখন উত্তাপে ফুটছে নিজাম প্যালেস চত্বর।
প্রথমে এজিসি বোস রোডে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন। এই অবস্থায় তাঁদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বর্তমানে বাইরে থেকে রাজ্য পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: নারদাকাণ্ডে মুকুল-শুভেন্দু-শঙ্কুদেবকে কেন গ্রেফতার করা হল না’, প্রশ্ন কুণাল-সৌগত’র
বিক্ষোভের আঁচ আজ গোটা বাংলায়। গ্রেফতারের প্রতিবাদে জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভ। কোথাও টায়ার জ্বালিয়ে, কোথাও পথ অবরোধ করে, কোথাও আবার রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা।
বিক্ষোভকারীরা প্রশ্ন তোলেন, “শুভেন্দু, মুকুলকে কেন গ্রেফতার করা হল না? যদি ওঁদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা না হয়, তাহলে গোটা বাংলায় আগুন জ্বলবে।” তৃণমূলের তরফেও প্রশ্ন তোলা হয় একই। কারণ যে কারণ দর্শিয়ে তৃণমূলের তিন বিধায়ক ও প্রাক্তন বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করা হল, সেই কারণে তো অভিযুক্ত মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারীও। কারণ তাঁদেরকে দেখা গিয়েছিল সেই ফুটেজে।