ধীরগতিতে কমছে যমুনার জলস্তর, তবে জলমগ্ন দিল্লিতে সংকট এখনও কাটেনি

নয়াদিল্লি: এখনও জলের নীচে বেশ কয়েকটি এলাকা। তবে গতকাল সর্বকালের সর্বোচ্চে ওঠার পর, ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে যমুনা নদীর জলের স্তর। বৃহস্পতিবার স্কুল, কলেজ, শ্মশান, এমনকী জল শোধনাগার বন্ধ করে দিয়েছে দিল্লি সরকার। কারণ, যমুনার উপচে পড়া জলে প্লাবিত হয়েছে জাতীয় রাজধানী।

শুক্রবার সকাল ৬টায়, যমুনার জলস্তর ২০৮.৪৬ মিটারে দাঁড়িয়েছে, যা গতকাল রাতের ২০৮.৬৬ থেকে কিছুটা কম। এরই মধ্যে সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের ভবিষ্যদ্বাণী, আজ জলের স্তর কমবে এবং দুপুর ১টার মধ্যে ২০৮.৩০ মিটারে পৌঁছতে পারে।

দিল্লির একাধিক এলাকা জলমগ্ন। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবন, রাজ্য বিধানসভা এমনকী সুপ্রিম কোর্ট থেকে নামমাত্র দূরেও জল। বৃহস্পতিবার রাস্তাঘাট জলে নীচে চলে যাওয়ায় আউটার রিং রোডের অংশ-সহ বেশ কয়েকটি সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। যানবাহনকে বিকল্প পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে, ফলে ব্যাপক যানজট দেখা দিয়েছে।

মেট্রো পরিষেবাগুলিও প্রভাবিত হয়েছে। সবমিলিয়ে গণপরিবহণের উপর নির্ভরশীল মানুষের জন্য এক জটিল চ্যালেঞ্জ। অ্যাপ্রোচ রোডে জলমগ্নতার কারণে ব্লু লাইনের যমুনা ব্যাঙ্ক মেট্রো স্টেশনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সব লাইনে অপারেশন স্বাভাবিক থাকলেও, মেট্রো সেতুগুলিতে ট্রেনগুলি সীমিত গতিতে চলছে।

তিনটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জাতীয় রাজধানীর কিছু অংশে জল পরিষেবা প্রভাবিত হবে। মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল বলেছেন জল নেমে যাওয়ার সঙ্গে সরবরাহ স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হবে।

ইতিমধ্যে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রের কাছে সাহায্য চাওয়ার পাশাপাশি জল ছাড়া বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, এ মুহূর্তে যা পরিস্থিতি, তাতে অতিরিক্ত জল ছাড়তে হবে। পরবর্তীতে জল ঝাড়ার পরিমাণ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Related posts

বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাংলার সাত লোকসভা কেন্দ্রে ভোট পড়ল ৭৩ শতাংশ

হুগলির ধনিয়াখালিতে বিক্ষোভের মুখে লকেট, অশান্ত পরিস্থিতি

ভোট চলাকালীন ঝেঁপে বৃষ্টি, ছাতা মাথায় ভিড় ভোটারদের