টি-২০ বিশ্বকাপে ভারত, পাকিস্তান ম্যাচকে নিয়ে উত্তেজনার পারদ একেবারে তুঙ্গে, দেখে নেওয়া যাক  কিছু বিতর্কিত ঘটনা

ডেস্ক: টি-২০ বিশ্বকাপে ভারত, পাকিস্তান ম্যাচকে নিয়ে উত্তেজনার পারদ একেবারে তুঙ্গে। আজ মরুশহরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়েই বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করছে ভারত। বিশ্বকাপের যে কোনও ফর্ম্যাটেই এই একটা ম্যাচ দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন দু’দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা ৷ দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ,উন্মাদনার কোনও অভাবই নেই। চলতি বিশ্বকাপের ১৬তম ম্যাচে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে ভারত এবং পাকিস্তান। 

বিশ্বকাপে বরাবরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রেকর্ড ভালো ভারতের ৷ তাই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে জয়ের রেকর্ড ধরে রাখতে মরিয়া বিরাট ব্রিগেড ৷ অন্যদিকে বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে হারের রেকর্ড বদলে ফেলতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে প্রস্তুত বাবর আজমরাও। দুই দলের মুখোমুখি হয় এর আগেও যখনই ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছে, উত্তেজনা চরমে উঠেছে। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। কিন্তু এমন কিছু মোকাবিলায় তারা মুখোমুখি হয়েছে, যেখানে খেলোয়াড়রা নিজেদের ধৈর্য সংযম হারিয়েছেন। আবার কিছু ঘটনা এমন হয়েছে আম্পায়ারদের ভূমিকাও সন্দেহের কাতারে রয়েছে।


বিষেণ সিং বেদি ও পাকিস্তানি আম্পায়ার
পাকিস্তানের শাহিওয়ালে জাফর আলি স্টেডিয়ামে ভারত-পাক ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় এবং নির্ণায়ক ম্যাচের খেলা হচ্ছিল। পাকিস্তান আগে ব্যাট করে ৪০ ওভারে ২০৫ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৭ ওভারে ২  উইকেটে ১৮৩ রান করে ভাল জায়গায় ছিল ভারত। সেই সময় পাকিস্তানের অধিনায়ক মুস্তাক মোহম্মদ ৩৮ তম ওভারে সরফরাজ নওয়াজকে বল হাতে তুলে দেন। ওই ওভারে নওয়াজ অংশুমান গায়কোয়াড়কে লাগাতার চারটি বাউন্সার দেন মাথার উপর দিয়ে। যার নাগাল পাননি তিনি। ম্যাচ জেতার জন্য পাকিস্তানি চালকে বুঝতে পেরে ব্যাটসম্যানদের ড্রেসিং রুমে ডেকে নেন বেদি এবং ম্যাচ পাকিস্তানকে উপহার দেন। এরপরই দু’দলের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। 


কিরণ মোরে বনাম জাভেদ মিয়াঁদাদ :-
১৯৯২ সালে সিডনিতে ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ চলাকালীন মিয়াঁদাদ এবং ভারতের উইকেট রক্ষক কিরণ মোরের মধ্যে ঘটে এক বিতর্কিত ঘটনা। মিয়াঁদাদ ব্যাট করার সময়ে অনবরত উইকেটের পিছন থেকে অ্যাপিল করছিলেন, সঙ্গে বিরক্ত করছিলেন মোরে। মিয়াঁদাদের পিঠে ব্যথার কথা উল্লেখ করে মোরে বোলারদের ‘স্ট্রেচ’ করার কথা বলেছিলেন। ম্যাচে মিয়াঁদাদ ১১০ বল খেলে ৪০ রান করেন। এই সময় শচীন টেন্ডুলকারের এক বলে উইকেট কিপার কিরণ মোরে লম্বা ক্যাচের আপিল করে। তাতে খেপে যান মিয়াঁদাদ। এরপরের বলে রান নেওয়ার চেষ্টা করলে ফের স্টাম্প ভেঙে দেন কিরণ মোরে। মিয়াঁদাদ ব্যাঙের মত লাফাতে শুরু করেন মোরেকে এটা বোঝাতে চান যে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন।


গম্ভীর এবং আফ্রিদি
২০১৭ সালে কানপুরে ওয়ানডে ম্যাচে গৌতম গম্ভীর এবং শাহিদ আফ্রিদির নিজেদের মধ্যে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন। গম্ভীর আফ্রিদির একটি বলে চার মারার পর পরের বলে সিঙ্গেল নেওয়ার জন্য দৌড়ে পড়েন। যখন রান নিতে দৌড়চ্ছিলেন, তখনই দুজনের মধ্যে টক্কর শুরু হয়। গম্ভীরকে আটকানোর চেষ্টা করেন বলে গম্ভীর অভিযোগ করেন আফ্রিদির বিরুদ্ধে। আম্পায়ার ইয়ান গোল্ড কোনওভাবে মামলা শান্ত করেন।


ভেঙ্কটেশ প্রসাদ বনাম আমির সোহেল :-
ব্যাঙ্গালোরে ভারত প্রথমে ব্যাট করে ২৮৭ রান করেছিল। নভজ্যোৎ সিং সিধু ৯৩ রান করার পাশাপাশি অজয় জাদেজা ২৫ বলে ৪৫ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন। রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান অসাধারণ শুরু করে। প্রথম ১০ ওভারে ৮৪ রান যোগ করেন আনোয়ার এবং আমির সোহেল। আনোয়ার ৪৮ রানে আউট হওয়ার পরেও আক্রমণাত্মক খেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন সোহেল। প্রসাদকে কভার অঞ্চল দিয়ে একটি চার মারার পরেই সোহেল তাঁকে আঙুল দেখিয়ে বাউন্ডারির বাইরে থেকে বলটি কুড়িয়ে আনতে বলেন। পরের বলেই সোহেলের স্ট্যাম্প ছিটকে দিয়ে প্রসাদ তাঁকে ড্রেসিংরুমের দিকে ইঙ্গিত করেন।

Related posts

আইপিএল ২০২৪: মঙ্গলবার প্রথম কোয়ালিফায়ারে কলকাতা মুখোমুখি হায়দরাবাদের

অবসর ঘোষণা সুনীল ছেত্রীর, আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় কলকাতাতেই

ইতিহাস তৈরি করে এই প্রথমবার আইপিএল প্লে অফে পৌঁছল কেকেআর