এফসি গোয়া ১-০ ব্যবধানে কেরালা ব্লাস্টার্সকে হারিয়ে আইএসএলে নিজেদের দুর্দান্ত ফর্ম ধরে রাখল। কোচির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবারের এই ম্যাচটি ছিল উত্তেজনায় ভরপুর। দুই দলই একে অপরকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ ছিল। মাঝমাঠের লড়াই ছিল দেখার মতো। কেরালা ব্লাস্টার্স বিবিন মোহনন ও ফ্রেডি লালাওমামাকে মাঠে নামালেও, এফসি গোয়ার কার্ল ম্যাকহিউ-এর নেতৃত্বে থাকা মাঝমাঠের কাছে তারা খানিকটা পিছিয়েই পড়েছিল।
খেলার প্রথম সুযোগটি আসে এফসি গোয়ার ইকার গুয়্যারোৎসেনার কাছে। একটি পরিকল্পিত ফ্রিকিক থেকে নেওয়া শট পোস্টে লেগে ফেরত আসে। বিপক্ষ ডিফেন্ডাররা চমকে গিয়েছিলেন, কিন্তু গোলকিপার সচিন সুরেশকে হারানোর পরেও বলটি জালে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হয়।
খেলার ৩০ মিনিট পর থেকে আক্রমণে মরিয়া হয়ে ওঠে গোয়া। অবশেষে ৪০তম মিনিটে সেই চেষ্টার ফল মেলে। সাহিল তাভোরা একটি নিখুঁত পাস বাড়ান ডান প্রান্তে থাকা বরিস সিংয়ের দিকে। বরিসের নেয়া শটটি সরাসরি গোলকিপার সচিন সুরেশকে ফাঁকি দিয়ে জালে ঢুকে যায়। সচিনের জন্য এটি একটি সহজ সেভ হতে পারত, কিন্তু তাঁর ভুলের সুযোগ নেন বরিস। প্রথমার্ধে এই একমাত্র গোলেই এগিয়ে যায় এফসি গোয়া।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ বজায় রাখে এফসি গোয়া। ৫৬তম মিনিটে কেরালা ব্লাস্টার্সের কোচ মিকেল স্টাহরে বেশ কিছু পরিবর্তন করেন। তিনি মাঠে নামান কোয়ামে পেপ্রাহ, কোরউ সিং এবং সন্দীপ সিংকে। পেপ্রাহ মাঠে নেমেই একটি নিখুঁত পাস বাড়ান নোয়া সাদাওইয়ের দিকে। তবে নোয়ার ফাইনাল পাস লুনার উদ্দেশ্যে পৌঁছানোর আগেই তা আটকে দেন আকাশ সাঙ্গওয়ান।
৮৪তম মিনিটে এফসি গোয়ার কোচ মানোলো মার্কেজ আরও কয়েকজন পরিবর্তন খেলোয়াড় নামান, যার মধ্যে ছিলেন আরমান্ডো সাদিকু, বোরহা হেরেরা এবং উদান্ত সিং। শেষ মুহূর্তে কেরালা ব্লাস্টার্স সমতা ফেরানোর বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও, সন্দেশ ঝিঙ্গানের নেতৃত্বে এফসি গোয়ার রক্ষণ দৃঢ়তার সঙ্গে তা প্রতিহত করে। বিশেষ করে, তরুণ কোরউ সিংয়ের নেওয়া দুটি শট ঝিঙ্গানের অসাধারণ ব্লকে আটকে যায়।
এই জয়ে আইএসএলে নিজেদের দুর্দান্ত ফর্ম বজায় রাখল এফসি গোয়া।