সুযোগ নষ্টের খেসারত, গোয়ার বিরুদ্ধে ড্র করে মাঠ ছাড়ল এসসি ইস্টবেঙ্গল

ওয়েবডেস্ক : শুরুতে পেনাল্টি নষ্ট, গোটা ম্যাচে একাধিক সুযোগ হাতছাড়া, রক্ষণের ভুলে গোল হজম। একগাদা ভুলের খেসারত দিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। প্রায় ৩০ মিনিট দশ জনে খেলা গোয়াকে হারাতে পারলেন না ব্রাইট-পিলকিংটন-মাঘোমারা। আবারও ড্র করেই মাঠ ছাড়লো এসসি ইস্টবেঙ্গল। ১-১ গোলে খেলা শেষ।

প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখতে এই ম্যাচে জিততেই হত এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। প্রত্যাশামতোই শুরু থেকে বজায় ছিল লাল হলুদের আক্রমণের ঝড়। দ্রুত গোল পেতে এদিন প্রথম থেকেই ব্রাইট, মাঘোমা এবং পিলকিংটনকে একসঙ্গে নামিয়েছিলেন ফাউলার।

তাতে সুযোগও এসে গিয়েছিল লাল-হলুদের কাছে। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই বক্সে নারায়ণকে ফাউল করায় পেনাল্টি পেয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু হেলায় সেই সুযোগ নষ্ট করে পিলকিংটন। গোলকিপার উলটোদিকে ঝাঁপ দিলেও পিলকিংটনই শট বাইরে মারেন।

এরপর পালটা ইগরের শট বাঁচান দেবজিৎ। প্রথমার্ধের বেশিরভাগ সময়ই আক্রমণের ঝাঁঝ বেশি ছিল লাল-হলুদের। কিন্তু ব্রাইটদের গোল করার প্রয়াস বারেবারেই ব্যর্থ হয়। উলটে ৩৮ মিনিটে ইগর গোল করে গোয়াকে এগিয়ে দেন।

আরও পড়ুন : পরপর হার, অলিম্পিক্সের আগে ছন্দহীন সিন্ধু, শ্রীকান্ত

নগুয়েরার দুরন্ত থ্রু থেকে আগুয়ান দেবজিৎকে কাটিয়ে গোলটি করেন তিনি। বিরতিতে যাওয়ার সময় ১-০ গোলে এগিয়ে যায় গোয়া।

দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ায় লাল-হলুদ। ৬৪ মিনিটে সমতা ফেরায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। কর্নার থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান অধিনায়ক ড্যানি ফক্স। এরপরই অবশ্য পরপর দু’টি হলুদ কার্ড দেখায় গোয়ার এডু বেদিয়াকে লাল কার্ড দেখান রেফারি।

অর্থাৎ শেষ ৩০ মিনিট দশজনে খেলতে হয় এফসি গোয়াকে। ফলে এই সময় রবি ফাউলারের দলের আক্রমণের পরিমাণ ছিল অনেকটাই বেশি। কিন্তু গোয়ার গোলের নীচে ধীরজ অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠায় আর গোল পায়নি এসসি ইস্টবেঙ্গল।

পাশাপাশি ব্রাইট-মাঘোমা-পিলকিংটন-হরমনপ্রীতরা সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারত লাল-হলুদ ব্রিগেজ। তবে এদিনও রেফারির বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

Related posts

লখনউকে হারিয়ে আইপিএলের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে কেকেআর, প্লে অফ কি নিশ্চিত?

আইএসএল ফাইনালে এগিয়ে থেকেও হার মোহনবাগানের

মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় কেকেআরের, ওয়াংখেড়েতে ২৪ রানে জিতল নাইটরা