বিশ্বকাপ এবং ভারতের মাঝে দূরত্ব আর এক ম্য়াচের। আগামী রবিবার অমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ফাইনাল। বৃহস্পতিবার নিউজিল্যান্ডকে কার্যত একার হাতেই শেষ করে দিয়েছেন ভারতের ফাস্ট বোলার মহম্মদ শামি।
ভারত চার উইকেটে ৩৯৭ রান তুলেছিল নির্ধারিত ওভারে। তবে ভারতের অসাধারণ ব্যাটিংয়ের পর নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং চলাকালীন হতাশার মেঘ সরছিল না। কিউয়িদের চার-ছক্কায় মনে হচ্ছিল এই বোধহয় হাত থেকে ফসকে গেল ম্যাচ। কিন্তু শামির আগুনে পারফরমেন্স নিউজিল্য়ান্ডকে বেঁধে দিল ৩২৭ রানে। ৭০ রানে জিতে বিশ্বকাপের ফাইনালে ১২ বছর পর ফের ভারত।
প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচের সেরা হলেন শামি। খেলা শেষে সম্প্রচারকারী চ্যানেলে তিনি বলেন, ‘আমি আমার সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। আমি প্রচুর সাদা বলের ক্রিকেট খেলিনি। আমি ধরমশালায় নিউ জিল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে ফিরেছিলাম। আমরা বলের বৈচিত্র্য নিয়ে প্রচুর কথা বলি। তবে আমি এখনও বিশ্বাস নতুন বলে ঠিকঠাক পিচ করে উইকেটে পাওয়ায়। আমি আজ উইলিয়ামসনের ক্য়াচ মিস করেছি। করা উচিত হয়নি। খুবই খারাপ লাগছিল’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ফোকাস ছিল বল যেন গতির সঙ্গেই বাতাসে কথা বলতে পারে। আমাদের সেই সুযোগ নিতেই হত। উইকেট অসাধারণ ছিল। দুপুর প্রচুর রান হয়েছে। মনের মধ্য়ে শিশিরের ভয় ছিল। তবে উইকেট থেকে ঘাস ছেঁটে ফেলা হয়েছিল। যদি শিশির থাকত আর বল হড়কে যেত তাহলে, রান হত আরও।’
এক ম্যাচে সাত উইকেট নিয়ে একাধিক রেকর্ড গড়ছেন শামি। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেকেই বোলিংয়ে বৈচিত্র নিয়ে কথা বলি। তবে আমি এখনও বিশ্বাস করি, নতুন বলে ফুল-লেন্থ ডেলিভারিতেও উইকেট নেওয়া যায়। পরের দিকে মূল ফোকাস ছিল গতি কমিয়ে দেওয়ায়। ওরা যে বড় শট খেলতে চাইবে সেটাই তো স্বাভাবিক! এমন পরিস্থিতিতে, বলের গতি কম থাকলে উইকেট নেওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ে।’