গুজরাত টাইটান্সকে হারিয়ে প্লে-অফের দিকে আরও এগোল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স

পরপর ম্যাচ জিতে প্লে অফের লড়াইয়ে দারুণ ভাবে ফিরে এল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। শুক্রবার লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা গুজরাত টাইটান্সকে ২৭ রানে হারিয়ে প্লে অফের লড়াই জমিয়ে দিলেন রোহিত শর্মারা। ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফের দোরগোড়ার দাঁড়িয়ে গুজরাত টাইটান্স। অন্যদিকে ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নেওয়ার জন্য মরিয়া লড়াই চালাচ্ছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। লিগ টেবিলে তৃতীয় স্থানে উঠে এল তারা।

শুক্রবার ওয়াংখেড়ের মুখোমুখি লড়াইয়ে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে দেয় পাঁচবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন মুম্বই। গুজরাত জিতলে তাদের প্লে-অফের টিকিট নিশ্চিত হয়ে যেত এ দিনই। হারলেও হার্দিকদের শেষ চারে যাওয়া আটকাবে বলে মনে হয় না। অন্য দিকে, মুম্বই এই ম্যাচ জিতে কার্যত প্লে-অফের চোকাঠে পৌঁছে গেল। হারলে চাপে পড়ে যেতেন রোহিতরা। শেষমেশ ওয়াংখেড়েতে শেষ হাসি মুম্বইয়ের প্রত্যাবর্তনের মাইল স্টোন হয়ে রইল। এখনও দুটি ম্যাচ বাকি রয়েছে তাদের।

প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ২১৮ তোলে মুম্বই। জবাবে ৮ উইকেটে ১৯১ রানে থেমে যায় গুজরাত। টস জিতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান গুজরাত অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য। দারুণ শুরু করেন মুম্বইয়ের দুই ওপেনার ঈশান কিশান ও সূর্যকুমার যাদব। ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লে-তে ৬১ রান তুলে নেন তাঁরা। ২০ বলে ৩১ রান করেন ঈশান। দুরন্ত সেঞ্চুরি করে মুম্বইয়ের জয়ের ভিত গড়ে দেন সূর্যকুমার যাদব। আইপিএলে প্রথম বার শতরান করলেন সূর্যকুমার। এর আগে ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে তিনটি শতরান ছিল তাঁর।

ওয়াংখেড়ের বাইশ গজ যতই ব্যাটিং সহায়ক হোক না কেন, জয়ের জন্য ২১৯ রানে লক্ষ্য যথেষ্ট কঠিন ছিল গুজরাত টাইটান্সের কাছে। উল্লেখযোগ্য ভাবে, ৩২ বলে অপরাজিত ৭৯ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন রশিদ খান। ডেভিড মিলার করেন ২৬ বলে ৪১ রান। ১৪ বলে ৪১ রান করে লড়াই টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন বিজয় শঙ্কর। মুম্বইয়ের হয়ে ৩১ রানে ৩ উইকেট নেন আকাশ মাধওয়াল। ২টি করে উইকেট নেন পীযূষ চাওলা ও কুমার কার্তিকেয়া।

ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স মেলে ধরা সত্ত্বেও ম্যাচের সেরার পুরস্কার জুটল না রশিদ খানের (বল হাতে ৩০ রানে ৪ উইকেট) ভাগ্যে। ১১টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ৪৯ বলে অপরাজিত ১০৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলার সুবাদে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন সূর্যকুমার যাদব। তিনি একের পর এক বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠান। ১১টি চার এবং ছ’টি ছক্কা মারেন সূর্যকুমার।

Related posts

লখনউকে হারিয়ে আইপিএলের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে কেকেআর, প্লে অফ কি নিশ্চিত?

আইএসএল ফাইনালে এগিয়ে থেকেও হার মোহনবাগানের

মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় কেকেআরের, ওয়াংখেড়েতে ২৪ রানে জিতল নাইটরা