রচনা-লকেট জমজমাট লড়াই! হুগলিতে শেষ হাসি কার?

রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়। প্রতিনিধিত্বমূলক গ্রাফিক্স ছবি

ইমনকল্যাণ সেন: হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে এ বার দুই নায়িকার লড়াই! হুগলির বর্তমান সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থী করেছে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দুই অভিনেত্রীর লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসবেন কে?

ক’দিন আগেই রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টেলিভিশন শো ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এ হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই দিন থেকেই কার্যত রাজ্য-রাজনীতিতে জল্পনা বাড়ছিল রচনার রাজনীতিতে হাতেখড়ি নিয়ে। তবে কি রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন রচনা? লোকসভায় কোথা থেকে টিকিট পাচ্ছেন তিনি? ঘুরপাক খাচ্ছিল এমনই সব প্রশ্ন, রবিবার ব্রিগেডে তৃণমূলের সভামঞ্চ থেকে সেই জল্পনার অবসান ঘটেছে। এখন প্রশ্ন, হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে শেষ হাসি হাসবেন কে?

বিজেপি-র পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে বাংলার ২০ টি আসনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে হুগলি থেকে প্রার্থী করা হয়েছে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। প্রশ্ন ঘুরছিল, তাহলে তৃণমূল কাকে প্রার্থী করতে চলেছেন সেখান থেকে? সেই প্রশ্নেরও জবাব মিলেছে রবিবার।

লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃণমূল প্রার্থী ঘোষণা করেছে হুগলিতে। নাম ঘোষণার পর রচনা বলেন, “রাজ্যের দিদি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার উপর ভরসা রেখেছেন, এই ভরসার দাম দেব।” তিনি আরও বলেন, মানুষ তাঁকে ভালোবাসে এটাই তাঁর বড় প্রাপ্তি। প্রচারের ময়দানে তিনি হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের মানুষের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে যেতে চান। আর লকেট কী বলছেন?

প্রতিদ্বন্দ্বীর নাম শোনার পর লকেট বলেন, “এই ভোটের লড়াই লকেট বনাম রচনা নয়, এই লড়াই মোদী বনাম মমতার। তাদের লড়াই দুর্নীতির বিরুদ্ধে। রচনার সঙ্গে আমি দীর্ঘদিন অভিনয় করেছি এই লড়াই তাঁর সাথে আমার না, আমরা মোদীজির সৈনিক। তাঁর হয়েই রাজ্যের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে নেমেছি।”

নতুন করে বলার নয়, একাধিক বাংলা ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করেছেন রচনা-লকেট। কোনো ছবিতে তাঁরা অন্তরঙ্গ তো কোনো ছবিতে তাঁদের চরিত্রগুলো ছিল একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী। এখন রাজনীতির ময়দানে তাঁরা পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবেই অবতীর্ণ হলেন।

‘ত্যাগ’ ছবিতে রচনা-লকেট। সংগৃহীত ছবি

প্রসঙ্গত, ২০১৯ লোকসভা ভোটে হুগলির মাটি হারাতে ঘাসফুল শিবিরকে। সেই বার শাসকদলের হয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন রত্না দে নাগ। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৫ লক্ষ ৯৮ হাজার ৮৬। অপরদিকে, রত্নাকে পর্যদস্তু করে পদ্মের জমি শক্ত করেছিলেন লকেট। প্রাপ্ত ভোট ছিল ৬ লক্ষ ৭১ হাজার ৪৪৮। ফলে হারিয়ে যাওয়া জমি পুনরুদ্ধারে মরিয়া শাসক দল। ২০১৯ সালের লোকসভায় তৃণমূলের এই আসন ছিনিয়ে নিয়েছিলেন লকেট। ২০২৪ সালে তা ফিরে পেতেই ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-কে সামনে রাখলেন ‘দিদি’।

Related posts

ফিরছে তাপপ্রবাহ, কোথাও কোথাও বৃষ্টির পূর্বাভাস

২ তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবি, বিজেপির অভিযোগে পাত্তা দিল না কমিশন

ভোটের পর ইন্ডিয়া জোটের সরকার গঠন, বাইরে থেকে সবরকম সাহায্য, বার্তা মমতার