প্রথম পাতা খবর শীতলকুচিতে ধনকড়ের সফর নিয়ে কড়া চিঠি পাঠালেন মমতা

শীতলকুচিতে ধনকড়ের সফর নিয়ে কড়া চিঠি পাঠালেন মমতা

297 views
A+A-
Reset

কলকাতা: শীতলকুচিতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সফর নিয়ে কড়া চিঠি পাঠালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  রাজ্যপালক রীতিমতো কড়া ভাষায় চিঠিও লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যকে এড়িয়ে এ ভাবে সফর করে আসতে তিনি প্রোটোকল মানছেন না বলে রাজ্যপালকে বার্তা দিলেন মমতা। বুধবার ধনখড়কে চিঠি লিখে পশ্চিমবঙ্গে সরকারের প্রোটোকল এবং আচার-সংক্রান্ত ম্যানুয়াল স্মরণ করিয়ে দেন মমতা। 


গত কয়েক দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্টে রাজ্যপাল জানিয়েছেন হিংসার ঘটনা ঘটেছে, এমন জায়গাগুলি পরিদর্শন করবেন তিনি। আগেই ধনকর অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্যকে এই বিষয়ে জানিয়েও কোনও সাড়া মেলেনি। পরে তিনি জানান, ভোট পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শীতলকুচিসহ কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে যাবেন রাজ্যপাল।

বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর কপ্টারে চেপে কোচবিহার সফরে যাবেন তিনি।সেই মতো আগামিকাল বৃহস্পতিবার সকালেই রওনা হ্ওয়ার কথা তাঁর। আর তার আগেই চিঠি দিলেন মমতা।
কেন সোশ্যাল মিডিয়ায় সফরের কথা জানিয়ে একতরফা সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ্যপাল! নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে সফরের ব্যাপারে জানানো উচিত ছিল রাজ্যপালের। কিন্তু তিনি সেটা করেননি। বরং তিনি যে ভোট পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতিত খতিয়ে দেখতে একটি নির্দিষ্ট জেলা সফরে যাওয়ার পরিকল্পনা করে ফেলেছেন, তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করে প্রোটোকল ভেঙেছেন রাজ্যপাল। মমতা এদিন চিঠিতে এমনই দাবি করেছেন।

আরও পড়ুন: বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা জগন্নাথ সরকার, নিশীথ প্রামাণিকের


চিঠিতে লিখেছেন, ‘দুঃখজনকভাবে তাতে দীর্ঘদিনের প্রথা লঙ্ঘিত হয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে। যা কয়েক দশক ধরে সুপ্রতিষ্ঠিত। তাই আমি আশা করছি যে নির্দিষ্ট প্রোটোকল মেনে চলবেন আপনি এবং বিভিন্ন জায়গায় সফরের হঠকারী সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকবেন।’
মমতা আরও দাবি করেছেন, রাজ্যপাল জেলা সফরের সিদ্ধান্ত নিলে রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তা জানানোর নিয়ম রাজ্যপালের সচিবের।


বেসরকারি কোনও পক্ষ হোক বা কোনও সরকারি প্রতিষ্ঠান – রাজ্যপালকে কোনও আর্জি জানানোর আগে রাজ্য সরকার, সংশ্লিষ্ট জেলা যে ডিভিশনের অন্তর্গত, সেখানকার কমিশনার এবং জেলা আধিকারিকের সঙ্গে আলোচনা করেন রাজ্যপালের সচিব। যে জেলা আধিকারিক সার্বিকভাবে কর্মসূচি সঠিকভাবে রূপায়ণের দায়িত্বে আছেন।’ কিন্তু এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে ১৩ মে কোচবিহার সফরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল। যা সরকারী নিয়ম-নীতির বিরোধী।

আরও খবর

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.