ডেস্ক: সাংসদ পদেই বহাল থাকবেন নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার। শেষপর্যন্ত ইস্তফাই দিলেন দিনহাটার বিজেপি বিধায়ক নিশীথ প্রমাণিক ও শান্তিপুর থেকে নির্বাচিত জগন্নাথ সরকার।
বিধানসসভা নির্বাচনে দলের বেশ কয়েকজন সাংসদকে লড়াইয়ে নামিয়েছিল বিজেপি। তাদের মধ্যে ছিলেন এঁরা দুজনও। দুজনই জয়ী হয়েছেন। দিনহাটা থেকে জয়ী হন নিশীথ ও নদিয়ার শান্তিপুর থেকে নির্বাচিত হন জগন্নাথ সরকার। দলের নির্দেশে দুজনই বিধায়ক পদ ছাড়লেন। ফলে সাংসদই থাকছেন ওই দুজন।
গত সপ্তাহে দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁরা সাংসদ হিসাবেই পেতে চান নিশীথ ও জগন্নাথকে। এই অবস্থায় দিনহাটা ও শান্তিপুর দুই বিধানসভা আসনেই উপনির্বাচন হবে। যার জন্যে দুই রাজনৈতিক দলই এখন থেকে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, শপথ নিলে পরবর্তী দুই সপ্তাহের মধ্যে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া বাধ্যতামূলক। নিয়ম অনুযায়ী, আগামী ৬ মাসের মধ্যে যে কোনও একটা পদ ছাড়তেই হত দুই সাংসদকে।উপনির্বাচনে বিজেপি-ই জয়ী হবে বলে আশাবাদী দুই সাংসদ।
বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে জগন্নাথ সরকার বলেন, দল চেয়েছে তাই বিধায়ক পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। নির্বাচনের যে ফল তাতে মোটেই বিজেপি দুর্বল বলে প্রমাণ হয় না। আমরা ৩ জন বিধায়ক ছিলাম।। সেখান থেকে এই জায়গায় এসেছে বিজেপি। ফলে রাজ্যে বিজেপি এখন যথেষ্ট শক্তিশালী বিপক্ষ।
আরও পড়ুন: দিল্লির রকিবগঞ্জ গুরুদুয়ারা কোভিড সেন্টারে নিরবিচ্ছন সেবায় IHRO
নিশীথ প্রমাণিক বলেন, একইসঙ্গে দুটি সদনের সদস্য থাকা যায় না। সেই কারণেই দলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমাদের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে। সেই নির্দেশ মতোই আজ ইস্তফা দিলাম। কোচবিহারের মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের রূপ দেখে নিয়েছে। তাই এবারও তারা তৃণমূল কংগ্রেসের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। নির্বাচন পরবর্তিতে দিনহাটার মানুষ যেভাবে তৃণমূলের সন্ত্রাস দেখেছে, আশাকারি উপ নির্বাচনেও তারা বিজেপির পক্ষেই রায় দেবে।