বারো মাসে তেরো পার্বণের ১৪তম বৈভব… “বইমেলা”

পঙ্কজ চট্টোপাধ্যায়

বাঙালির জীবনে বারো মাসে তেরো পাব্বনের মতো এক আধুনিকায়ন হয়েছে “বইমেলা”। বলা যায় বঙ্গজীবনের ১৪তম উৎসব, পার্ব্বণের নাম এই বইমেলা।

সেই ১৯৭৬ সাল থেকে শুরু হয়েছে এই বইমেলা।নয় নয় করে প্রায় ৫০ বছরের কাছাকাছি এবারের কলকাতার আন্তর্জাতিক বইমেলা চলছে তার ৪৬ তম বয়সের অভিজ্ঞতা নিয়ে। মাঝে শুধু ২০২১ সালে বিশ্ব জুড়ে করোনার মহামারীর জন্য বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়নি।

বাঙালির প্রাণ উৎকণ্ঠায় ছিল,কবে আবার স্বাভাবিক হবে জনজীবনের গতি। তাই গত বছরের আবার বইমেলায় যদিও একটু দ্বিধাদ্বন্দ্ব নিয়ে বাঙালি ভেবেছিল,মেলায় আসবে কি আসবে না, এবারে ৪৬ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা কিন্তু স্বতঃস্ফূর্ততায় ভরপুর নানা বয়সের মানুষের বইমেলাতে অংশগ্রহণের উদ্দিপনায়,আনন্দের আতিশয্যে।

বইমেলা চলছে তার ঐতিহ্য এবং পরম্পরা নিয়ে। মানুষ আসছেন মেলায় বই দেখতে,বই কিনতে,বই পড়ার জন্য। নানান ধরনের বই, যেমন রচনাবলী, গল্প-কবিতা উপন্যাস,ভ্রমনকাহিনী,আধ্যাত্মিকতার,রান্নাবান্না, ইতিহাস, বিজ্ঞান, কল্পবিজ্ঞান, সাংবাদিকতার ইতিহাস সহ চরিতাবিধান, বাংলার মহীয়সী বঙ্গনারীদের কাহিনি, খেলার জগতের কথা,সঙ্গীত -নাটক-সিনেমার বিষয়ে, কৃষিবিজ্ঞান, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, গণিতের বিষয়ে,ইত্যাদি,ইত্যাদি বহু বহু বিবিধ বিষয়ের ওপরে হাজার হাজার বইয়ের বৈভবে বিরাজ করছে ২০২৩-এর ৪৬তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা সল্টলেকের করুণাময়ীর পাশেই সেণ্ট্রাল পার্কে, প্রতিদিন, আগামী রবিবার ১২ ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ পর্যন্ত।

চলুন, যাই, দেখে আসি বইমেলা।নিজেও অংশগ্রহণ করি বাঙালির ১২ মাসের ১৩ পাব্বনের, না,১৪ পাব্বনের বইমেলা উৎসবে।

” সবারে করি আহ্বান…..”

Related posts

কিন্তু মৃত্যু যে ভয়ংকর, সে-দেহে তাহার কোন প্রমাণ ছিল না

২৭ শে এপ্রিল মানে জাগা, জেগে থাকা, জাগানো…

‘কলকাতার যীশু’, ‘উলঙ্গ রাজা’, ‘অমলকান্তি’-র প্রণেতা, শতবর্ষী কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী