প্রসঙ্গঃ স্বামী বিবেকানন্দ

পঙ্কজ চট্টোপাধ্যায়

১২ ই জানুয়ারী স্বামী বিবেকানন্দের শুভ জন্মদিনের প্রণতিতে তাঁর জীবনের কিছু অজানা দিক নিয়ে আলোকপাতের প্রথমেই জানাই এক বিস্ময়কর তথ্য।

স্বামী বিবেকানন্দ ছাত্রাবস্থায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি পরীক্ষা দিয়েছিলেন, যথাক্রমে, এনট্রানস্, এফ.এ. এবং বি.এ. এগজামিনেশন।

আমাদের সাধারণ ঘরের ছেলেমেয়েদের অতি সাধারন রেজাল্টের মতই ছিল সেই পরীক্ষাগুলির রেজাল্ট। ভাবলে অবাক হয়ে যেতে হয়… যিনি পরবর্তীতে ইংরেজিতে জ্বালাময়ী ভাষন দিয়ে ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মানুষকে মোহিত করে তুলেছিলেন,তিনি ইংরেজিতে খুবই সাধারণ নম্বর পেয়েছিলেন।
স্বামী বিবেকানন্দের তিনটি পরীক্ষার রেজাল্ট ছিল এই রকমঃ

এনট্রানস্ এগজামিনেশন

ইংরাজি……………৪৭
দ্বিতীয় ল্যাঙ্গুয়েজ..৭৬
ইতিহাস……………৪৫

অঙ্ক………………..৩৮

সবমিলিয়ে মোটঃ ২০৬

এফ.এ. এগজামিনেশন

ইংরেজি………….. ৪৬
দ্বিতীয় ল্যাঙ্গুয়েজ.. ৩৬
ইতিহাস…………… ৫৬
অঙ্ক……………….. ৪০
লজিক(৫০ নম্বর).. ১৭

সাইকোলজি(৫০).. ৩৪

সব মিলিয়ে মোট.. ২২৯

বি.এ. এগজামিনেশন

ইংরাজি…………… ৫৬
দ্বিতীয় ল্যাঙ্গুয়েজ.. ৪৩
অঙ্ক……………….. ৬১
ইতিহাস…………… ৫৬

ফিলসফি…………. ৪৫

সব মিলিয়ে মোট…২৬১

স্বামী বিবেকানন্দের এই রেজাল্ট দেখে আমরা নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি যে পরীক্ষাতে পাওয়া নম্বরের সাথে জীবনের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে প্রায় কোন মিলই থাকে না।

স্বামী বিবেকানন্দের আর একটি দিক ছিল তিনি যেমন খেতে এবং খাওয়াতে ভালোবাসতেন,তেমনই তিনি দিনের পর দিন অনাহারেও থাকতে পারতেন। তিনি খুব পছন্দ করতেন যেমন আয়েসি খাবার,যথা বিরিয়ানি, চপ,কাটলেট,মাংস,ইত্যাদি, আবার ভালোবাসতেন তেলেভাজা খেতে,আলু সেদ্ধ দিয়ে ভাত খেতে।শুধু নুন লঙ্কা দিয়েও ভাত খেতেও ভালোবাসতেন তিনি। শোনা যায়,তিনি এদেশে এবং বিদেশ অনেকদিন অনাহারে কাটিয়েছেন।


আসলে বিবেকানন্দের জীবনের বিভিন্ন দিক ছিল এক একটি অধ্যায়। যার বেশীরভাগটাই আজও অপ্রকাশিত,অজানা,অচেনা।

তাঁর প্রতি রেখে গেলাম তাঁর জন্মদিনে আমাদের অন্তরের আজন্ম প্রণতি।

Related posts

২৭ শে এপ্রিল মানে জাগা, জেগে থাকা, জাগানো…

‘কলকাতার যীশু’, ‘উলঙ্গ রাজা’, ‘অমলকান্তি’-র প্রণেতা, শতবর্ষী কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী

চৈত্র বৈশাখ মধুমাধবের মায়ায় মায়ায়