৮ বছর পার, তবু ফিরে ফিরে আসে ঋতু

নিজস্ব প্রতিনিধি : ২০১৩ সালে ৩০ শে মে এই দিনেই মাত্র ৪৯ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা থেকে শুরু করে ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় সকলেই তাঁর স্মৃতিচারণে মগ্ন হয়ে পড়েছেন সকাল থেকে। সহকর্মীদের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঋতুপর্ণের ভক্তরা ও তাদের প্রিয় পরিচালকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

জীবিত কালে ঋতুপর্ণ একদিকে যেমন প্রচুর দর্শকদের ভালবাসা পেয়েছেন,অপর দিকে তাঁকে আজীবন বয়ে বেড়াতে হয়েছে গ্লানি, বিদ্রূপ, সমালোচনা, বিতর্ক।

দু’দশকের উজ্জ্বল কেরিয়ারে তাঁর প্রাপ্তি ছিল ১২ টি জাতীয় এবং বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার।১৯৯২ সালে ‘হীরের আংটি’-র হাত ধরে টলিউডে ডেবিউ করেন তিনি।ঋতুপর্ণ পরিচালিত ‘চিত্রাঙ্গদা’ ছবিটি মধ্যবিত্ত দৃষ্টিভঙ্গিকে আয়নায় দেখিয়ে গিয়েছে।
ঋতুপর্ণ ছকে বাঁধা রসায়ন থেকে বেরিয়ে ‘উনিশে এপ্রিল’, ‘দোসর’, ‘রেনকোট’, ‘দ্য লাস্ট লিয়র’ এর মত ছবি পরিচালনা করেছেন।

ঋতুপর্ণ ছিলেন নারী বা পুরুষের উর্দ্ধে ওঠা একজন জীবন্ত মানুষ। লিঙ্গ-পরিচয় ছুড়ে ফেলে কিভাবে সমাজের সঙ্গে লড়তে হয়, তা ঋতু রন্ধ্রে রন্ধ্রে সকলকে বুঝেয়েছিলেন।

ঋতুপর্ণ কেরিয়ার শুরু করেছিলেন বিজ্ঞাপনের হাত ধরে। অর্থনীতিতে এম এ করে ২৪ বছরের ঋতুপর্ণ একটি বিজ্ঞাপন সংস্থায় যোগ দেন শিক্ষানবিশ কপিরাইটার হিসেবে। কিন্তু তখন কে জানত এই ছেলেই হবে বিজ্ঞাপনের অমূল্য রতন। শখের কলমবাজ থেকে পেশাদার হয়ে উঠতে সময় লাগেনি তাঁর।

কপি লেখার জন্য যখন সকলে লাইবেরিতে ছুটতো, ঋতু তখন কলমে ফুলঝুরি তুলছেন। একের পর এক অসাধারণ কপি লিখেছেন তিনি। তাঁর লেখায় কোনও পুনরাবৃত্তি ছিল না।

সারা জীবন শিখতে চাইতেন ঋতু। আর সেই ইচ্ছেই তাঁকে সাধারণের থেকে অসাধারণ করেছে। লেখার পাশাপাশি বইয়ের প্রতি ছিল তাঁর গভীর টান। সেই সঙ্গে সিনেমার প্রতি ছিল তাঁর ভালোবাসা। অপর্ণা সেনের ছবি দেখেও অনুপ্রাণিত হয়েছেন ঋতু।

ঋতুপর্ণ ভালোবাসার সন্ধান করে গেছেন সারা জীবন,কিন্তু তিনি বুঝতেই পারেননি তাঁকে কতটা ভালোবেসে ফেলেছে গোটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সহ ভক্তরা।

Related posts

‘গানের ভিতর দিয়ে’ তৃতীয় বর্ষের প্রতিযোগিতা

মালদহে দেবের হেলিকপ্টারে আগুন, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন তারকা অভিনেতা

‘তারক মেহতা কা উল্টা চশমা’র অভিনেতা ‘সোধী’ নিখোঁজ, দায়ের অপহরণের মামলা