প্রয়াত ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’র অন্যতম সদস্য বাপি (তাপস দাস)। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ হাসপাতালে মারা যান শিল্পী। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন এসএসকেএম হাসপাতালে।
ফুসফুসের ক্যানসারের তৃতীয় স্টেজে ছিলেন তিনি। অর্থাভাব থাকায় চিকিৎসা পর্যন্ত করাতে পারছিলেন না একটা সময়। এই দুরারোগ্য ব্যাধির বিপুল খরচের কাছে একটা সময় তাঁর পরিবার যেন নতিস্বীকার করতে বাধ্য হয়। তখন তাঁর পাশে এসে দাঁড়ান বর্তমান সময়ের একাধিক বাংলা ব্যান্ডের গায়করা।
এরপর রাজ্য সরকারের তরফ থেকে শিল্পীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। দিন কুড়ি আগে পর্যন্তও তাঁর সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু শেষমেশ আর ফিরলেন না তিনি। দুরারোগ্য ব্যাধির কাছে পরাজয় স্বীকার করতে হল শিল্পীকে। শারীরিক অবস্থার বারবার অবনতির কারণে মাঝেমধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছিল। কিন্তু এ বার আর তাঁর ফেরা হল না।
শিল্পীর মৃত্য়ুতে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এ দিন তাঁর টুইট, ‘তাপস দাসের মৃত্যুর খবরে আমি শোকস্তব্ধ। উনি বাপিদা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বাংলার প্রথম রক ব্যান্ড মহীনের ঘোড়াগুলির সদস্য ছিলেন উনি।’ মুখ্যমন্ত্রী আরও লেখেন, ‘মারণ রোগে আক্রান্ত ছিলেন তাপস দাস। আমাদের সরকার ওঁর চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করেছে। এসএসকেএম হাসপাতালে প্রতিভাবান এই শিল্পীর চিকিৎসা চলছিল। আমরা তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর যথাসম্ভব চেষ্টা করেছি। শিল্পীর স্ত্রী সুতপা, তাঁর পরিবার ও অনুরাগীদের সমব্যথী আমি।’
প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালে তৈরি হয় বাংলার প্রথম রক ব্যান্ড ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’। মাঝে ৪৭ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। আজও এই ব্যান্ডের গানগুলির জনপ্রিয়তা এতটা হারায়নি। গান না হারালেও গানের স্রষ্টাদের অধিকাংশই একে একে পাড়ি দিয়েছেন না ফেরার দেশে। এ বার চলে গেলেন তাঁদেরই অন্যতম বাপিদাও।