বিনোদন

মুক্তি পেয়েছে অনির্বাণ চক্রবর্তীর ছবি ‘নন্টে ফন্টে’, কেমন হল জেনে নেওয়া যাক

কলকাতা: হীরাগঞ্জ থেকে মতিগঞ্জ, ১২ বছরের দুই কিশোর নন্টে ফন্টের দুষ্টুমিতে নাজেহাল সর্বত্র। পরিবারের পক্ষ থেকে নন্টে ফন্টেকে সামলাতে না পেরে, হাতি স্যারের হোস্টেলে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেয়। হোস্টেলে আসার পর, নন্টে ফন্টে এক ঘরে থাকা শুরু করে। জায়গা পরিবর্তন হলেও দুজনের লড়াই অব্যাহত থেকে যায়। নন্টের খাবার কখনও চুরি করে ফন্টে খায়, আবার কখনও ফন্টেকে জব্দ করতে নন্টে ফাঁকা বাড়িতে টোপ দিয়ে ফন্টেকে ডেকে এনে ভূতের ভয় দেখায়। আবার সময় বিশেষে দুজনের মধ্যে বন্ধুত্বও দেখা যায়। পরবর্তী সময় নন্টে ফন্টে একসঙ্গে মিলে বুদ্ধি আঁটতে আঁটতে কিভাবে ড্রাগন পরিবারের সদস্যদের ঘায়েল করে, তাই দেখা যাবে এই ছবিতে।

গল্পে রয়েছে নন্টে ফন্টের চেয়ে কয়েক বছরের বড় ক্লাসের মনিটরের চরিত্রে আইকনিক কেল্টুদা। কেল্টুর চরিত্রটি বড়ই মজার। সে বার বার নন্টে-ফন্টেকে বিপদে ফেলতে গিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনে। এরপরই হাতি স্যার- নন্টে-ফন্টে-কেল্টুর জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে কাঁকড়া, চিংড়ি এবং ড্রাগনের চরিত্র গুলি। জালান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্মস প্রযোজিত ‘নন্টে ফন্টে’ -র সংগীত পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন অনুপম রায়।

বাঙালির ছেলেবেলার সঙ্গে অতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে কার্টুনিস্ট এবং লেখক নারায়ণ দেবনাথের সৃষ্টি ‘নন্টে ফন্টে’। বাঙালির সেই নস্টালজিয়াকে খানিকটা উস্কে দিতে বড়পর্দায় প্রথমবার কমিকস নিয়ে ছবি তৈরি করলেন, পরিচালক অনির্বাণ চক্রবর্তী। ছোট বড় সব ধরণের দর্শকদের কথা মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছে এই ছবি। পর্দায় ‘নন্টে ফন্টে’ দেখতে দেখতে ছোটরা যেমন একদিকে মজা পাবে, অপরদিকে বড়রাও ছবিটি দেখতে দেখতে ১৫ বছরের আগের জীবনে ফিরে আসবে। ‘নন্টে ফন্টে’ তে কাঁকড়ার চরিত্রে অভিনয় করেছেন অম্লান মজুমদার। এই ছবির চিত্রনাট্যকারও তিনি। ছবিতে কাঁকড়ার চরিত্রটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে কিভাবে হাতি স্যারের জিনিস পত্র চুরি করে নন্টে-ফন্টের হাতে ধরা পড়বে, তাই দেখা গিয়েছে এই ছবিতে। চিংড়ির চরিত্রে অভিনয় করেছেন কাঞ্চনা মৈত্র। চোরের চরিত্রে কাঞ্চনার অভিনয় যথাযথ।

‘নন্টে ফন্টে’-তে ড্রাগনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বল্প পরিসরে পরাণের মুখে মজার সংলাপ ছবি দেখার প্রতি আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়। নন্টের চরিত্রে সোহম বসু রায় চৌধুরী এবং ফন্টে সোহম বসুর দুষ্টু বুদ্ধি এবং টানটান সংলাপের সঙ্গে অভিনয় মনে ছাপ ফেলবে। কেল্টুর চরিত্রে কৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়, হাতিরাম স্যারের চরিত্রে মনোজ্যোতি মুখোপাধ্যায় অভিনয় যথাযথ। গুলের চরিত্রে স্বল্প পরিসরে দেখা গিয়েছে শুভাশিস মুখোপাধ্যায়কে। ভ্যাবলার চরিত্রে স্বল্প পরিসরে সুমিত সমাদ্দারের খুব বেশি কিছু করার অবকাশ ছিলনা। চৈতন্যের চরিত্রে লামার অভিনয় আধুনিকতার রেশ রেখেছে। তবে পরিচালক খুব সর্তকভাবেই চরিত্র গুলিকে বাছাই করেছেন। গরমের ছুটিতে ছোটদের সঙ্গে দম ফাঁটার হাসির মাঝে বিনোদন খুঁজে পেতে দেখে আসতেই পারেন ‘নন্টে ফন্টে’, মন্দ লাগবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.