কলকাতা: অভিনেত্রী এবং তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও দুর্নীতির অভিযোগ। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে জবাব দিলেন তিনি। জানিয়ে দিলেন, যে ফ্ল্যাট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তা ঋণ নিয়ে কিনেছেন। এবং সুদে-আসলে ঋণ শোধও করেছেন। এক পয়সার দুর্নীতি যে নেই, তার তথ্যপ্রমাণও হাতে রয়েছে।
বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে নুসরত বলেন, “ব্যাখ্যা তারাই দেয় যাঁরা অপরাধ করে বা যাঁরা ভয় পান। আমি কোনও অপরাধ করিনি। যে বিষয় বিচারাধীন রয়েছে, সেটা নিয়ে মন্তব্য করা কোনও সভ্য নাগরিকের কাজ নয়। আমি আশা করব, সেটা আপনারা করবেন না। অনেকেই না জেনে অনেক মন্তব্য করেছেন।”
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ খণ্ডন করে নুসরত সাফ জানিয়ে দেন, “প্রথমত, যে কোম্পানির নামে অভিযোগ উঠেছে আর্থিক দুর্নীতির, তার সঙ্গে নাকি আমি জড়িত। সেই কোম্পানি আমি ২০১৭ সালের মার্চ মাসে ছেড়ে দিয়েছি। দ্বিতীয়ত, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে আমার বাড়ি দুর্নীতির টাকায় কেনা। এই উত্তরে আমি বলব, এই কোম্পানি থেকে আমি একটি লোন নিয়েছিলাম। তার সংখ্যাটা হল ১ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার ২৮৫ টাকা। ২০১৭ সালের মে মাসে সুদসমেত এই কোম্পানিকে আমি ১ কোটি ৪০ লাখ ৭২ হাজার ৯৯৫ টাকা এই কোম্পানিকে আমি ফেরত দিই। তার সমস্ত প্রামাণ্য নথি, বাড়ির দলিল আমার কাছে রয়েছে। আমি চাইলে খুলে দেখাতে পারি। তবে এটা দেখতে কোর্ট থেকে নিতে হবে।”
ও দিকে, নুসরতের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আইন সকলের জন্য সমান হওয়া উচিত। নুসরতের নামে যেহেতু মামলা, তাই তিনিই যা বলার বলবেন। নুসরতের আইনজীবী কাজ করবেন। বিষয়টি তাঁর নয় বলেও জানান মমতা। যে সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ, সেই সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন নুসরত। সেই নিয়ে মমতা বলেন, “এমন ডিরেক্টর অনেক রয়েছেন। ভর্তি চারিদিকে। বিজেপি-র নেতারা ২০-২২ জন করে কেন্দ্রীয় পুলিশ নিয়ে ঘুরছেন। অপব্যবহার হচ্ছে না! ” ভোটের রাজনীতিটা ভালই বোঝে ওঁরা। মিথ্যে প্রচার ভাল পারেন। প্রচুর চটাকা আছে। ওঁদের টাকার আমদানি কোথা থেকে হয়, তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন নেই। অন্যদের বেলায় ইডি, সিবিআই। তাছাড়া আয়কর রয়েছে, নির্বাচন কমিশন রয়েছে। কারও ব্যক্তিগত ব্যাপারে আমি কথা বলব না।”