কলকাতা: প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী সুমিত্রা সেন। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন প্রবীণ শিল্পী। গত সোমবারই হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আনা হয়। মঙ্গলবার ভোর ৪টে নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতেই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।
সুমিত্রা সেনের মৃত্যুর খবর মঙ্গলবার ভোরে ফেসবুকে লিখে জানান তাঁর কনিষ্ঠা কন্যা শ্রাবণী সেন। তিনি লেখেন, ‘‘আজ মা ভোরে চলে গেলেন।’’ বালিগঞ্জে শ্রাবণীর কাছেই থাকতেন সুমিত্রা। সুমিত্রা সেনের দুই কন্যা ইন্দ্রাণী ও শ্রাবণী, দু’ জনেই প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী।
দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন সুমিত্র। গত ২১ ডিসেম্বর তাঁর ব্রঙ্কোনিউমোনিয়া ধরা পড়ে। ভর্তি করা হয় দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে। নিউমোনিয়া থেকে শিল্পীর নানা শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন। বাড়ি থেকেই শিল্পীর চিকিৎসা চলবে বলে পরিবারের তরফে সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার রাতেই শিল্পীকে বাড়ি নিয়ে আসা হয়। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরেই তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন।
শিল্পীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা তাঁর শোকবার্তায় লিখেছেন, ‘‘বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী সুমিত্রা সেনের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। রবীন্দ্রসঙ্গীতের অগ্রগণ্য শিল্পী সুমিত্রা সেন দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে নিজস্ব গায়কিতে শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রেখেছিলেন। প্রশিক্ষক হিসাবে তিনি অগণিত গুণমুগ্ধ ছাত্রছাত্রী রেখে গিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে ২০১২ সালে ‘সঙ্গীত মহাসম্মান’-এ সম্মানিত করে।”
বিশিষ্ট এই রবীন্দ্রসংগীত শিল্পীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী আরও লিখেছেন, “সুমিত্রা সেনের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের নিবিড় সম্পর্ক ছিল। তাঁর প্রয়াণে সঙ্গীত জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি সুমিত্রাদির দুই কন্যা ইন্দ্রাণী ও শ্রাবণী এবং সুমিত্রাদির পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’’