ওয়েবডেস্ক : তৃণমূল- বিজেপি লড়াইয়ে ভাঙন টলিউডে। এরই মধ্যে রবিবার ব্রিগেড সমাবেশে হাজির বামসমর্থক বেশ কয়েক জন টলি-তারকা।
টলি-পাড়ায় বামেদের ঘরও যে একেবারে খালি নয়, তা পরিষ্কার এই ঘটনা থেকে। কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, সব্যসাচী চক্রবর্তী, শ্রীলেখা মিত্র, দেবজ্যোতি মিশ্র, চন্দন সেন, দেবদূত ঘোষ-সহ আরও বেশ কিছু পরিচিত মুখ এ দিন হাজির ছিলেন মাঠে।
সমাবেশে একটা বড় সময়ে সঞ্চালনার দায়িত্ব সামলান বাদশা মৈত্র।
সমাবেশের গোড়াতেই ‘গরম ভাত’ বলে একটি গান গেয়েছেন টলি-তারকারা। ‘সারা পৃথিবী জুড়ে সকলের ঘরে ঘরে গরম ভাতের গন্ধ থাক’— গলা মিলিয়েছেন দেবজ্যোতি, সব্যসাচী, কমলেশ্বরেরা।
আরও পড়ুন : ‘দিদির দূত’ নুসরত, মমতার উন্নয়ন ঘরে ঘরে পৌঁছে দেবেন সাংসদ
কমলেশ্বরের কথায়, ‘‘রবিবারের ব্রিগেড প্রতিপক্ষের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে।’’ শ্রীলেখা বলছেন, ‘‘একেবারে মঞ্চের নীচে বসেছিলাম। মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখে গায়ে কাঁটা দিচ্ছিল। কত অল্প বয়সি ছেলেমেয়ে এসেছিল! কী ভিড়!’’
প্রচুর মানুষ এ দিন সমাবেশে হাজির হয়েছিলেন। ভোট নিয়ে তা হলে কতটা আশাবাদী তাঁরা? কমলেশ্বর এবং শ্রীলেখা ভোটের ভাল ফল নিয়ে আশাবাদী। কমলেশ্বরের বক্তব্য, ‘‘ব্রিগেডের এই আবেগ যদি বুথ পর্যন্ত ছড়ায়, ভোট লুঠ না হয়— রাজ্যে শীঘ্রই বদল আসছে মনে হয়।’’
তবে কিছুটা সংশয় দেবজ্যোতির গলায়। ‘‘দেখতে হবে, এই ভিড়ের কতটা ভোটে রূাপন্তরিত হয়’’, বলছেন তিনি। তবে কি সংশয় রয়েছে, সমাবেশে হাজির সবাই জোটের পক্ষে ভোট নাও দিতে পারেন?
‘‘আমরা বামপন্থী। ইতিবাচক ভাবনাই আমাদের অভ্যাস। তেমনটাই ভাবছি’’, বলছেন সঙ্গীতপরিচালক।
তবে ভোটের ফলাফল নিয়ে অতটাও চিন্তিত নন চন্দন। তাঁর কথা, ‘‘বামপন্থীরা সরকার গড়তে পারছেন কি না, তা নিয়ে অতটাও চিন্তিত নই। কিন্তু বিরোধী-শূন্য করে দেওয়ার যে প্রবণতাটা চলছিল, সেটা থামিয়ে দিল এই ব্রিগেড।’’