রোগের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে সাবধান, সময় থাকতে সতর্ক হন

ওয়েবডেস্ক : আমাদের জিনেই লুকিয়ে থাকে নানা রোগের ইতিহাস, যা পর্যালোচনা করে অনেক তথ্যই জেনে ফেলা সম্ভব। তাই কোনও রোগের চিকিৎসা করাতে গেলেই ডাক্তারবাবু আগেই পরিবারের মেডিক্যাল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চান।

বিশেষ করে আগামী দিনে কী-কী রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, সে বিষয়ে তো অনেকটা স্পষ্ট ধারণা দেওয়া যেতে পারে। কারণ জিন, কেমন পরিবেশে বড় হয়ে উঠেছেন এবং লাইফস্টাইল, এই তিনটি ফ্যাক্টর একটু তলিয়ে দেখলেই পরিবারে কী-কী রোগের ইতিহাস রয়েছে, সে সম্পর্কে চিকিৎসকের জেনে ফেলতে সময় লাগে না।

জিনগত কারণে কী কী রোগের সম্ভাবনা তৈরি হয়, আসুন দেখে নিই…….

স্তন ক্যানসার : তিরিশ পেরনো ভারতীয় মহিলাদের এর থেকে বড় আশঙ্কা আর কিছু নেই বোধহয়। ক্রমশই ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে ব্রেস্ট ক্যান্সারের আক্রমণ। বংশে এর আগে কোনও মহিলার ব্রেস্ট বা ওভারি ক্যানসার থাকলে ঝুঁকি বেশি। বিএআরসিএ ১, ও বিএআরসি ২, জিন থাকলে ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি অনেক বেশি। এক্ষেত্রে প্রয়োজন মতো জেনেটিক টেস্ট করিয়ে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। 

মানসিক অবসাদ : চাপ, চাহিদা, টেনশন, স্ট্রেস যত বাড়ছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানসিক সমস্যা। উত্তর আধুনিক জীবন যাত্রার অনিবার্য অসুখ হিসেবেই ছড়িয়ে পড়ছে ডিপ্রেশন।গবেষকদের একটা বড় অংশের দাবি, অবসাদের কারণ হিসেবে জিনের প্রচ্ছন্নতাও রয়েছে। এই রোগের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে নতুন প্রজন্মের এমন সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে যায়।

হৃদরোগ : গবেষকদের মতে, মায়ের কোনও ধরনের হার্টের রোগ অথবা হার্ট অ্যাটাক হলে তাঁর মেয়েরও এমন রাগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ২০ শতাংশ বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, স্ট্রোকের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। 

তাই রোগের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে তিরিশের পর থেকেই ডায়েট এবং লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আনার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। আগে থেকে রোগের সন্ধান পেলে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনই অল্পতেই রোগের প্রকোপও কমিয়ে ফেলা সম্ভব হয়।

Related posts

দুয়ারে হাসপাতাল! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে চালু হচ্ছে ২১০টি ভ্রাম্যমাণ মিনি হাইটেক হাসপাতাল

বাইরে বেরোলে জ্বালাপোড়া গরম, কী করবেন আর কী করবেন না?

জুন মাসে ভারতে আছড়ে পড়তে পারে করোনার চতুর্থ ঢেউ