হবু মায়েরা সাবধান, গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ঘুম ঝুঁকি বাড়াতে পারে

ওয়েবডেস্ক : হবু মা ও সন্তানের সুস্বাস্থ্যের জন্য গর্ভবতী মহিলাদের দিনে অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমনোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে নানা জটিলতাও দেখা দিতে পারে গর্ভাবস্থায়। তবে জানেন কি অতিরিক্ত ঘুমও বিপদ ডেকে আনতে পারে।

হবু মা যদি দিনে নয় ঘণ্টার বেশি ঘুমোন তবে তা গর্ভস্থ সন্তানের জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে উঠতে পারে। গর্ভাবস্থায় পেটের আয়তন বেড়ে যাওয়ায় শারীরিক অস্বস্তি এবং হরমোনের নানা পরিবর্তনে অনেক সময় ঘুম ভালো হয় না। ইনসমিয়া দেখা দেয়। প্রোজেস্টেরোন লেভেল বেড়ে যাওয়ায় ক্লান্তি বাড়তে পারে। এক্ষেত্রে সাউন্ড স্লিপ না হওয়ায় অনেক সময় ঘুমের মোট ঘণ্টা বেড়ে যায়।

রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হলেই কিন্তু দিনের বেলা বারবার ঘুমিয়ে পড়ার প্রবণতা বন্ধ হবে। কি করবেন হবু মায়েরা, যাতে রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হয়?

রয়েছে সহজ উপায়

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জল পান করুন :

এই সময় মহিলাদের শরীরে পাকস্থলীর ওপরে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। সেই কারণে বদহজম, অ্যাসিড রিফ্লাক্স হয় অনেকের। বিশেষ করে শুলে মনে হয় সব খাবার যেন গলায় উঠে আসছে। সেই
কারণেও ঠিকমতো ঘুমোতে পারেন না অনেকে। সঠিক সময়ে পরিমাণ মতো জল পান কমাতে পারে এই সমস্যা।

নিজেকে অ্যাক্টিভ রাখুন :

রাতে ভালো ঘুমনোর জন্য প্রয়োজন শারীরিক পরিশ্রম। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে নিজেকে অ্যাক্টিভ রাখুন। অ্যাক্টিভিটির মধ্যে থাকলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে এবং এর ফলে ঘুমও ভালো হবে। আবার ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি গর্ভবতী মহিলাদের ডায়াবিটিস এবং হাইপারটেনশনও নিয়ন্ত্রণে রাখে।

এড়িয়ে চলুন কফি :

গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে দিনে ২ কাপের বেশি কফি খেলে শরীরে অস্বস্তি, নিদ্রাহীনতা, উদ্বেগ দেখা দিতে পারে। তবে গর্ভবতী মহিলাদের সম্পূর্ণ ভাবে ক্যাফেইন বর্জন করতে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থাত্‍ তাঁদের পক্ষে দিনে দু-কাপ কফিও ক্ষতিকর হতে পারে।

রুটিন তৈরী করুন :

ঘুমের একটা নির্দিষ্ট রুটিন বানিয়ে নিলেও ঘুম ভালো হয়। ভালো ঘুমের জন্য রাতে শোওয়ার আধঘণ্টা আগে সব গ্যাজেট বন্ধ করে দিন। উদ্বেগ কমানোর চেষ্টা করুন।

এগুলি মেনে চললেই দেখবেন রাতে ভালো ঘুম হচ্ছে এবং দিনের বেলায় বারবার ঘুমিয়ে পড়ার প্রবণতা কমছে।

Related posts

বাইরে বেরোলে জ্বালাপোড়া গরম, কী করবেন আর কী করবেন না?

জুন মাসে ভারতে আছড়ে পড়তে পারে করোনার চতুর্থ ঢেউ

কোভিডে কাহিল ন্যাশনাল মেডিক্যাল, আক্রান্ত ৮০ স্বাস্থ্য কর্মী